fbpx

মানব সভ্যতার বিকাশ মানুষের জন্ম, পরিবেশ ও বাসস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। জ্যোতিষ মানুষের জন্ম ও তার জীবনযাত্রার পরিকল্পনার বিস্তারিত জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় ঘটায়।অনুরূপভাবে বাস্তুশাস্ত্র মানুষের বাসস্থান সম্পর্কিত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করে জীবনকে সমৃদ্ধিশালী করে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের রয়েছে তিনটি মূল ধরা।গণিত, ফলিত এবং সংহিতা।গণিত অর্থাৎ অঙ্ক, ফলিত অর্থাৎ যা ফলে আছে বা ঘটছে এবং তৃতীয় ভাগটি হল সংহিতা অর্থাৎ সংকলন।বাস্তুশাস্ত্র এই সংহিতারই একটি অংশ।এ দিকে পুরাণ শাস্ত্রমতে বাস্তু আদতে জ্যোতিষেরই অঙ্গ।বলা হয়ে থাকে বাস্তু জ্যোতিষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।জ্যোতিষের কর্ম কাল বা সময়কে কেন্দ্র করে।যে কারণে জ্যোতিষশাস্ত্রের পুরুষসূক্তে যে মানুষের কল্পনা করা হয়েছে তার অভিধান হল কালপুরুষ।জ্যোতিষমতে ১২টি রাশি হল কালপুরুষের ১২টি অঙ্গ।জ্যোতিষ যেমন সময় বা কাল নিয়ে কাজ করে তেমনই বাস্তুশাস্ত্র কাজ করে স্থান, আকার স্থাপত্য নিয়ে।মাননজীবনে দুটির প্রভাবই খুব গুরুত্বপূর্ণ।এ সম্বন্ধে “বরাহমিহির” তাঁর রচিত গ্রন’ “যোগযাত্রা”-য় দুটি খুব সুন্দর ও সহজ উদাহরণ দিয়েছেন কাল স্থান নিয়ে।যেমন- কাক রাতের বেলায় পেঁচার দ্বারা আক্রান্ত ও নিহত হয়।কিন্তু এর ঠিক উলটো দৃশ্য দেখা যায় দিনেরবেলায়।দিনের বেলায় পেঁচা স্বয়ংই কাকের দ্বারা আক্রান্ত ও নিহত হয়ে থাকে।সময় যে কত বলবান তা আমরা এই উদারহরণটির সাহায্যে বুঝতে পারি।

অনুরূপ স্থান সম্বন্ধেও একটি সহজ উদাহরণ তিনি তাঁর বইতে দিয়েছেন।যেমন- শুকনো জায়গায় বা ডাঙায় কুমির সিংহের দ্বারা নিহত হয়।কিন’ এর ঠিক বিপরীত কান্ড হয় কুমির যখন সিংহকে পানিতে পায়।তখন কুমির সিংহকে আক্রমণ করে এবং হত্যা করে।স্থান বা জায়গায় গুরুত্ব যে কতটা মানবজীবনকে প্রভাবিত করে তা ওপরের উদাহরণ থেকে আন্দাজ করা যায়।

পাঞ্চভৌতিক তত্ত্বেই বাস্তুশাস্ত্রের ভিত্তি নির্ভর করে আছে।এই পঞ্চভুতই জ্যোতিষের ভিন্ন অঙ্গ।আকাশে অবস্থিত বিভিন্ন তারামণ্ডল বারোটি রাশিতে বিভক্ত।আর এই রাশিগুলিই পঞ্চভূতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।মেষ, সিংহ, ধনু রাশির তত্ত্ব হল অগ্নি।বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির তত্ত্ব পৃথিবী।মিথুন, তুলা ও কুম্ভ হল বায়ুতত্ত্ব।কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন পানি তত্ত্বের রাশি।এই সকল রাশিই আকাশের বিভিন্ন তারামণ্ডলের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতিষ ও বাস’শাস্ত্র উভয়ের মধ্যে দিকের বিশেষ গুরুত্ব আছে।

জ্যোতিষ শাস্ত্রের মহান গ্রন্থ “জাতক পারিজাত”-এ আটটি দিকের উল্লেখ আছে।অমর কোষে বিভিন্ন দিক্‌ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,

গ্রহ দিক্‌ গ্রহ দিক্‌
রবি পূর্ব শনি পশ্চিম
শুক্র আগ্নেয় চন্দ্র বায়ব্য
মঙ্গল দক্ষিণ বুধ উত্তর
রাহু নৈর্ঋত বৃহস্পতি ঈশান
ধর্মশাস্ত্রে দশটি দিকের এবং দশ দিক্‌পালের উল্লেখ আছে।বাস্তুশাস্ত্রেও অনুরূপ উল্লেখ আছে।জ্যোতিষশাস্ত্রে যে আটটি দিকে নয়টি গ্রহের কথা বলা হয়েছে, বাস’শাস্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে।নীচের ছবির মাধ্যমে সেই দশ দিক্‌, দশ দিক্‌পাল এবং জ্যোতিষের নটি গ্রহের পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত তা দেখানো হয়েছে।

চিত্রঃ

কোষ্ঠী বা জন্মছকে বিভিন্ন দিক্‌ সম্বন্ধে গণনার সময় নীচের চিত্রের সাহায্যে ধারণা করা হয়।

চিত্রঃ

কোষ্ঠী তৈরি করতে সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ বিষয হয় ‘স্পষ্ট লগ্ন’।জন্মের সময় জন্মস্থানের আকাশ পরিমণ্ডলের অবস্থানই হল কোষ্ঠী বা জন্মকুণ্ডলী।স্পষ্ট লগ্নের ভিত্তি পূর্ব দিককেই গণ্য করা হয়।জন্মের সময়ই ওই স্থানে যে রাশি পূর্ব দিকের ক্ষিতিজে অবস্থিত, ওই রাশির অংশ কলা-বিকলা গণনা করে যে রাশিমান নির্ধারণ করা হয় সেটিই ‘স্পষ্ট লগ্ন’।একবার পূর্ব দিক্‌ জেনে নেওয়ার পর সকল দিককে কোষ্ঠীতে স্থাপন করা হয় এবং কোষ্ঠী তৈরি করা হয়।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বিভিন্ন রাশি ও বিভিন্ন দিকের অবস্থানকারী।

দিক্‌ রাশি
পূর্ব দিকে অবস্থানকারী মেষ, সিংহ ও ধনু
পশ্চিম দিকে অবস্থানকারী মিথুন, তুলা ও কুম্ভ
উত্তর দিকে অবস্থানকারী কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন
দক্ষিণ দিকে অবস্থানকারী বৃষ, কন্যা ও মকর

বিভিন্ন জ্যোতিষ গ্রন্থ অনুসারে এই সব রাশি যদি উপরোক্ত দিকে থাকে তা হলে এরা ‘দিগবল’ লাভ করে।অনুরূপভাবে বিভিন্ন গ্রহও পৃথক প্রথক দিকের গ্রহও নিযুক্ত হয়েছেন।নবগ্রহের শান্তি স্বস্তয়নাদি পদ্ধতিতে বিভিন্ন দিকের অধিপতি গ্রহ হল :

দিক অধিপতি দিক অধিপতি
পূর্ব সূর্য পশ্চিম শনি
দক্ষিণ-পূর্ব শুক্র উত্তর-পশ্চিম চন্দ্র
দক্ষিণ মঙ্গল উত্তর বুধ
দক্ষিণ-পশ্চিম রাহু ও কেতু উত্তর-পূর্ব বৃহস্পতি

চিত্রঃ

এইভাবেই জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন গ্রহ বিভিন্ন দিকে অবস্থিত হওয়ার দরুন গ্রহকে ‘দিগবলী’ বলা হয়।জ্যোতিষশাস্ত্রে কোষ্ঠীতে কেন্দ্রের অত্যন্ত গুরুত্ব থাকে।চারটি কেন্দ্রস্থান আছে।প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম ও দশম ভাব।বাস্তুশাস্ত্রেও কেন্দ্রস্থান অর্থাৎ নীচের চিত্রে স্পষ্ট করে দেখানো হল :

চিত্রঃ

চতুর্থের কারক গ্রহ চন্দ্র ও বুধ।তৃতীয় ভাব বোঝায় জাতকের পরাক্রম, উদ্যম, পারিবারিক ও ভ্রাতৃসুখ, প্রবাসে সুখ, সজ্জা ও পবিত্রস্থান।এর কারক গ্রহ হচ্ছে মঙ্গল।মঙ্গল ভূমিকারক গ্রহ।আর চতুর্থ স্থান হচ্ছে ভূমি, ভবন, বাহন এবং সুখের সম্পর্কিত।এই সুখের জন্য চতুর্থেশ কেন্দ্রে বা ত্রিকোণে হওয়া অনিবার্য।এ ছাড়া চতুর্থভাবে শুভদৃষ্টি ও শুভ গ্রহের যূথী হওয়া বিশেষভাবে বাঞ্ছনীয়।দশাবিচার মতে জ্যোতিষশাস্ত্রে জাতকের জন্মপত্রের বা ছকের চতুর্থ স্থান থেকে জাতকের সুখ, সম্পত্তি, বাড়ি ও বাহন সম্বন্ধে ধারণা করা যায়।চতুর্থ স্থানে গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী জাতক ওই জিনিসগুলি কতটা অনায়াসে অর্জন করবে সে ব্যাপারে বলা যায়।

অভিজ্ঞ জ্যোতিষীকে বাস্তু সম্পর্কে কোনও প্রশ্নাদি করা হলে তিনি জাতকের জন্ম ছকের চতুর্থের ভাব, চতুর্থপতি লগ্ন থেকে কোথায় অবস্থান করছেন তা দেখে এবং ষোড়শবর্গের চতুর্থাংশের স্থান বিচার করে বলতে পারেন যে জাতকের স্বগৃহ লাভ কবে, কীভাবে এবং কীকরে সম্ভব।

ভূমি এবং বাড়ি প্রাপ্তিযোগ :

  • লগ্নপতি এবং সপ্তমপতি যদি চতুর্থভাবে থাকে তা হলে অনায়াসে গৃহলাভ হয়।
  • চতুর্থাধিপতি যদি সগৃহী এবং তুঙ্গ বা উচ্চ হয় তবে উত্তম বাড়ি প্রাপ্তি হয়।
  • চতুর্থপতি দশমে থাকলে ও শনির দ্বারা দৃষ্ট হলে পুরনো বাড়ি প্রাপ্তি হয়।
  • যদি ধনপতি, লগ্নপতি ও আয়পতি চতুর্থভাবে একসঙ্গে যূথী অর্থাৎ যোগ হয় তবে জাতক একাধিক বাড়ির মালিক হয়।
  • চতুর্থপতি যদি অষ্টমভাবে থাকে তা হলে শ্রেষ্ঠ বাড়ি প্রাপ্তি হয়।
  • যদি চতুর্থপতি এবং দশপতি পরস্পর স্থান বিনিময় করে তবে অতুল ভূমির ও বাড়ির মালিক হয়।
  • চতুর্থপতি পঞ্চমভাবে হলেও জাতক জমির মালিক হয়।
  • চতুর্থপতি সপ্তমভাবে থাকলে জাতক স্ত্রীর মাধ্যমে জমি বা বাড়ি প্রাপ্ত হয়।

চতুর্থপতি যদি ষষ্ঠভাবে থাকে হা হলে বাদ-বিবাদ বা মামলা-মকর্দমার পর অথবা মাতুল পক্ষ থেকে জাতকের বাড়ির অধিকার প্রাপ্তি হয়।
বৃষ লগ্নে যদি চতুর্থভাবে সূর্য থাকে তবে অস্থায়িভাবে বাড়ি পাওয়া যায়।
কর্কট লগ্নে যদি চতুর্থের বৃহস্পতি থাকে তবে জাতকের বাড়ি, জমি বাগান ইত্যাদি লাভ হয়।
চতুর্থাধিপতি কেন্দ্র বা ত্রিকোণে শুভগ্রহ যুক্ত থাকলে উত্তম গ্রহের প্রাপ্তি হয়।
লগ্নাধিপতি আর সপ্তমপতি যদি লগ্নে বা চতুর্থভাবে থাকে এবং শুভ গ্রহের দৃষ্টিযুক্ত থাকে তবে জাতকের নিশ্চিতভাবে গৃহপ্রাপ্তি যোগ হয়।
নবমাধিপতি যদি কেন্দ্রে থাকে এবং চতুর্থপতি যদি স্বক্ষেত্রে অথবা মূলত্রিকোণে থাকে তা হলেও জাতকের সহজে বাড়ি বা জমি লাভ হয়।
চতুর্থপতি যদি মেষ, কর্কট, তুলা ও মকর অর্থাৎ চর রাশিতে থাকে এবং শুভগ্রহ যুক্ত ও দৃষ্ট হয় তবে জাতকের একাধিক ভবনে বাস হয় অর্থাৎ ভবনপরিবর্তন হয়। এর বিপরীত চতুর্থপতি যদি স্থির রাশিতে থাকে যথা বৃষ, সিংহ, বৃশ্চিক ও কুম্ভ তা হলে জাতকের দীর্ঘস্থায়ী ভবনে বাস হয়।
যদি জন্মকুণ্ডলীতে তৃতীয় স্থানের অধিপতি চতুর্থভাবের অধিপতির সঙ্গে থাকে তা হলে ভ্রাতা দ্বারা ভূমিপ্রাপ্তি হয়। কিস্তু এই যোগ যদি বিপরীতভাবে ক্ষেত্র বিনিময় করে তবে জাতক নিজের ভাইকে বাড়ির অধিকার দেয়।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাস্তু দোষ জানার উপায়

বাস্তুশাস্ত্র সম্বন্ধে জানতে গেলে গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী এবং যিনি গৃহের প্রধান রোজগার কর্তা এই তিনজনের জন্মছক থেকে বাস’দোষ সম্বন্ধে ধারণা করা যায়।সাধারণভাবে লগ্নের চতুর্থ স্থানের রাহু, মঙ্গল এবং রাহু শনি এই দু’গ্রহের যূথী বাস্তুদোষের দিকে ইঙ্গিত করে।কুণ্ডলীতে ‘কালসর্প’ দোষও বাস’দোষকে ইঙ্গিত করে।

নবগ্রহ ও বাড়ির কোষ্ঠী:

নটি গ্রহের সঙ্গে বাড়ির স্থায়িত্বের সম্পর্কও বাস্তু মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গ্রহ কোন লগ্নে এবং কোন স্থানে অবস্থান করলে বাড়ি কত বছর স্থায়ী হয়, বাস্তু-জ্যোতিষশাস্ত্রীরা এ নিয়েও গণনা করেছেন।বাড়ি তৈরির সময় লগ্ন দশম, একাদশ স্থানে যথাক্রমে শুক্র, বুধ ও রবি এবং বৃহস্পতি কেন্দ্রস্থলে থাকলে বাড়ি টিকে থাকবে শত বছর।চতুর্থ ঘরে বৃহস্পতি, দশমে চন্দ্র ও একাদশে শনি বা মঙ্গল হলে বাড়ি আশি বছর থাকবে।

বাড়ি তৈরির সময় বৃহস্পতি, রবি, বুধ, শুক্র ও শনি এগুলি যথাক্রমে লগ্নের ষষ্ঠ, সপ্তম, চতুর্থ ও তৃতীয় স্থানে থাকলে সে বাড়ি টিকবে একশো বছর।লগ্নে শুক্র, তৃতীয়তে রবি, ষষ্ঠ ঘরে মঙ্গল ও পঞ্চমে বৃহস্পতি থাকলে সে বাড়ি দুশো বছর টিকবে।গ্রামই হোক অথবা শহর, লগ্নে চন্দ্র, সপ্তম ঘরে বৃহস্পতি, দশম ঘরে বুধ অথবা শুক্র থাকলে, বুধ যদি একই লগ্নে থাকে, তা হলে বাড়ি করলে ছয় শত বছর স্থায়ী হয়।যদি লগ্নে শুক্র, বৃহস্পতি নির্দিষ্ট রাশিতে অর্থাৎ সপ্তম ঘরে থাকে তা হলে বাড়ির মালিক দীর্ঘজীবী হবেন এবং বাড়ি টিকে থাকবে আটশো বছর।লগ্নে রবি, সপ্তম ঘরে বৃহস্পতি, দশম ঘরে চন্দ্র- এরকম অবস্থায় বাড়ি করলে তা টিকে থাকবে সহস্র বছর অর্থাৎ এক হাজার বছর।উচ্চ কর্কটরাশির বৃহস্পতি চতুর্থ ভাগে অথবা শনির একাদশ স্থানে তুলা থাকা অবস্থায় বাড়ি করলে সেই বাড়িতে আজীবন ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে অর্থাৎ ধনসম্পদে ভরে থাকে।

বাস্তুশাস্ত্রীকেও প্রয়োজনে জ্যোতিষের সাহায্য নিতে হয়।বাস্তুশাস্ত্রী কোনও জমিতে বাড়ি তৈরির পূর্বে সেই ভূমি জীবিত না মৃত তা প্রথমে নির্ণয় করেন।তারপর তিনি ভূমির শয়ন ও জাগরণ নির্ধারণ করেন।এই সমস্ত কিছুই জ্যোতিষবিদ্যার সাহায্য ব্যতিরেকে অসম্ভব।যিনি বাড়ি তৈরি করবেন তাঁর কোষ্ঠী অনুসারে বাড়ির মূখ্য দ্বারের দিক, ভবন ক্রয় বা জমিতে ভবন নির্মাণ শুরুর দিন, গৃহপ্রবেশের শুভদিন, তিথি-মুহূর্ত ইত্যাদি নির্দিষ্ট করা দরকার।বাস্তুশাস্ত্র মতে গ্রাম চয়ন, দিক চয়ন, কূপ খনন, হলকষর্ণ, বীজ বপন, বীজ রোপণ, গৃহনির্মাণ, দ্বার চয়ন, গৃহপ্রবেশের মুহূর্ত প্রভৃতি জ্যোতিষের ভিত্তিতেই করা হয়।সুতরাং জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস’শাস্ত্র অঙ্গাঅঙ্গিভাবে একে অপরের সম্পর্কযুক্ত ও পরিপূরক।

বাস্তুমুহূর্ত ও গৃহপ্রবেশ

চিত্রঃ

গৃহপ্রবেশ (১) – অপূর্ব : নিজ তৈরি বাড়ি বা ফ্ল্যাটে প্রথম প্রদার্পণ।
গৃহপ্রবেশ (২) – সপূর্ব : বহুদিন পর তীর্থযাত্রা অথবা প্রবাসে থাকার পর পুনঃপ্রবেশ।
গৃহপ্রবেশ (৩) – দ্বন্দ্বহ : কোনও কারণে বাড়ি নষ্ট হওয়ার পর পুনর্নির্মাণ করে পুনর্গৃহপ্রবেশ।
বাস্তুমুহূর্ত (৪) – বাড়ি নির্মাণ শুরু করা।
বাস্তুমুহূর্ত (৫) – কুয়ো খনন, টিউবওয়েল খনন।
বাস্তুমুহূর্ত (৬) – শিলান্যাস।
পাঠকের সুবিধার্থে মাস, তিথি, নক্ষত্র, যোগ, মুখ্য প্রবেশদ্বার ও বার অনুসারে বাস্তুমুহূর্ত ও সর্বপ্রকার গৃহপ্রবেশের তালিকা পরের পাতায় সন্নিবেশিত হলো।
তালিকাগুলি উপ
রে বর্ণিত ১, ২, ৩, ৪, ৫, এবং ৬ ক্রম অনুসারে সজ্জিত।

 

(Commenting: OFF)