Description
মুক্তার ইংরেজী নাম Pearl । মুক্তা চকচকে মতি বিশেষ। আরবীতে “লুলুউ” বলে। বর্ণের দিক থেকে সাদা, হরিদ্রাভ, কৃষ্ণাভাযুক্ত ও রুপালী আভাযুক্ত হয়ে থাকে। আসল বা খাঁটিঁ মুক্তা ঘাম সংস্পর্শে তার নিজস্ব গুণ হারিয়ে ফেলে । মুক্তা নাইট্রিক এসিডে গলে যায়। সব ঝিনুকে মুক্তা জন্মায় না। সাগরবাসী ঝিনুকের ও ঝিল পুকুরের ঝিনুকের দেহে যে মুক্তা তৈরী হয় তার প্রস্তুতি খুবই সরল। হঠাৎ একটি বালিকনা যদি দেহে ঢুকে পড়ে, তখনই তাকে ঘিরে স্তরে স্তরে রসক্ষরণ হয়। সেটাই কালক্রমে পরিণত হয় মুক্তায়। ঝিনুকের সেই মুক্তার নাম “Mother of pearl”।
মুক্তা সরবরাহকারী জল জীবটির নাম “পিংটাডা – মার্গারিটিফেরা” (Pinctada) আর কৃত্রিম মুক্তার চাষ করা হয় যে প্রাণীর শরীরে তার নাম “পিংকটাডা – মারটেনসি” (Pinctada Martensii) । মুক্তা নানা জাতের। প্রথমেই আসে শুক্তি মুক্তা বা Oyster- pearl। এটি পাওয়া যায় আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর. অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, বোম্বে, সিংহল এবং মাদ্রাজ প্রভৃতি দেশের সাগরচারী ঝিনুক বা শুক্তির গর্ভে। এই মুক্তাটিই বাজারে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়।
সমুদ্রচারী বিশাল এক ধরনের শঙ্খের মধ্যে জন্মায় “শঙ্খমুক্তা” বা Conchpearl । এগুলি গোলাপী রঙের খুব দামী মুক্তা। শোনা যায় – বিশেষ এক বনবিহারী অজগর কিংবা ব্যাঙের মাথায় এক ধরণের মুক্তা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে সেগুলি দেখা যায় না। বুড়ো হাতীর দন্ত কোষ ও ব্রেইনে গজায় “ গজমুক্তা” এগুলি গোলাকার, দীপ্তিহীন। গভীর সাগরের তিমি মাছের মাথায় জন্মায় “মৎস্যমুক্তা” এগুলি হালকা, কম উজ্জ্বলতা সম্পন্ন । এমনকি পুরনো যুগে দানব আকৃতির বাঁশের মধ্যেও নাকি মুক্তা পাওয়া যেত। তবে সেগুলো কদাচিৎ দেখা যায়। শুধু প্রাকৃতিক মুক্তাই নয়- আজকাল মুক্তার কৃত্রিম চাষ শুরু হয়েছে। সেগুলোকে বলে “কালচার্ড-পার্ল”। জাপান ও ভারতে এই ধরণের কৃত্রিম মুক্তা প্রচুর উৎপন্ন করা হচ্ছে।
উপাদান (Chemical Composition) : মুক্তার ৯২ ভাগই ক্যালসিয়াম, ২ ভাগ পানি এবং ৬ ভাগ অজৈব খনিজ পদার্থ।
আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ২.২৬ – ২.৭৮ ।
কাঠিন্যতা (Hardness): ৩ – ৪।
প্রতিসরণাংক (Refractive Index) : ১.৫২ – ১.৬৬ (কালো মুক্তা গুলো ১.৫৩-১.৬৯) ।
বিচ্ছুরণ (Dispersion) : None (নাই)।
প্রাপ্তিস্হান : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, ভারত,চীন,জাপান,আমেরিকা,সিংহলদ্বীপ,পারস্য উপসাগর প্রভৃতিস্হানে মুক্তা পাওয়া যায়।
উপকারিতা : রাশিচক্রে কর্কট রাশি ও চন্দ্র গ্রহের রত্ন। এই রত্ন সততা, বিশ্বাস, আনন্দের ধারক। সৌন্দর্য, দেহ ও মনের শান্তি রক্ষার্থে শুভ ফলদায়ক। আয়ুর্বেদ মতে মুক্তা ভস্ম মহা উপকারী ঔষধ। কথিত আছে-মুক্তা রতি শক্তি বৃদ্ধির সহায়ক বলে মিসর সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা মদের টেবিলে কয়েক লক্ষ টাকার মুক্তা গ্লাসে গুলিয়ে এক মুহূর্তে খেয়ে ফেলতো। জানা যায়, সম্রাজ্ঞী একাধারে বহু যুব পুরুষের সংঙ্গে রতি ক্রিয়ায় লিপ্ত হতে পারতো। জ্যোতিষ মতে চন্দ্র হল মনকারক গ্রহ। মানব মনে তার প্রভাবের ফলে মানুষের মনও হয়ে উঠে দ্রুতগামী। তাই বলা হয়ে থাকে যারা অকাররণ দুশ্চিন্তা করেন অথবা আকাশ কুসুম রচনা করা যাদের নেশা, তাঁরা মুক্তা ধারণ করে সুফল পেতে পারেন। যক্ষ্ণারোগেও মুক্তা যথেষ্ট উপকারী। হদরোগ, বৃদ্ধদের শক্তিহীনতা, ক্রোধ প্রবণতা দূর করার জন্য দুধের সাথে মুক্তার গুড়ো মহৌষধ হিসেবে গণ্য।
মুক্তা নিয়ে কিছু কথা
সবার আগে কৃত্রিম উপায়ে মুক্তা তৈরীর চেষ্টা করে চীন দেশেই। তাও আবার দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। একদা চীনের হুচাও প্রদেশের বাসিন্দা জিনইয়াং আবিস্কার করে ফেললেন মুক্তার জন্ম রহস্য। আর তখন থেকেই চীন দেশে মুক্তা সৃষ্টির চেষ্টা শুরু হয়। মুক্তা সম্বন্ধে কথা উঠলেই আরো যে একটি দেশের নাম মনে আসবে তার নাম জাপান । উদিত সূর্যের এই দেশকে স্বচ্ছন্দে উদিত মুক্তার দেশও বলা চলে। কেননা আজকের পৃথিবীতে মুক্তা শিল্পে ও রপ্তানীতে জাপান শীর্ষে। সব মিলিয়ে পঁচিশটি মুক্তা চাষের কেন্দ্র আছে, তিরিশ হাজার একর জায়গা জুড়ে চার হাজার মুক্তা খামার আছে। আর তার মধ্যে উৎপাদনের শতকরা হিসেবে অ্যাগো উপসাগরীয় অঞ্চলে একাই সত্তর শতাংশ মুক্তা যোগান দেয়। জাপানি শুক্তিগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হল পিঙ্কটাডা মার্টেনসি, এই শুক্তিটি তুলনামূলকভাবে উষ্ণ জলের প্রাণী।
১৯০৪ সালে প্রথমবার জাপানি মুক্তা রপ্তানি হয় আমেরিকাতে। আজকের জাপানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় এক হাজার টন মুক্তা উৎপন্ন হয়, যার আশি ভাগেরও বেশী রপ্তানী করে জাপান বিশ্বের মুক্তা বাজার নিয়ন্ত্রন রেখেছে। “প্রথম শতাব্দীর রোমান প্রকৃতি প্রেমী দার্শনিক প্লিনি দ্য এলডার মুক্তার বর্ণনা দিয়েছিলেন এই ভাবে –‘বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে রাজকীয় বস্তূ হচ্ছে মুক্তা”। “কালো মুক্তা বড় দুর্লভ। মেক্সিকো উপকূলে এক-আধটা পাওয়া যায়। তাইতো পৃথিবী বিখ্যাত ফুটবলার পেলের নাম দেওয়া হয়েছিল-ব্লাক র্পাল। অর্থাৎ ‘কালো মুক্তা ।”
সবুজ –শ্যামল বাংলাদেশর মুক্তা নিয়ে কিছু কথা
“এই বাংলাদেশে যত গুলো নদীর নামের সঙ্গে ‘মতি’ শব্দটির যোগ রয়েছে তাদের সবকটি থেকেই মুক্তা পাওয়া যেত বলে ধারণা করা হয়। যেমন ইছামতি’ মধুমতি ইত্যাদি”। চৈনিক ও ভারতীয় সাহিত্যে মুক্তার কথা বলা হয়েছে। বৈদিক সাহিত্যে এই ইঙ্গিতও দেয় যে আর্যরা এদেশে আসার আগে (১৫০০ খ্রি:পূ) থেকেই মুক্তা এখানে একটি পরিচিত বস্স্তু ছিল। প্রাচীন যুগ থেকে বাংলাদেশের পিংক পার্ল বা গোলাপী মুক্তার খ্যাতি রয়েছে। প্রাচীন মধ্যযুগে দেশী বিদেশী বিভিন্ন রাজা- বাদশাহরা বাংলাদেশের পিংক পার্লের ভক্ত ছিলেন বলেও ইতিহাসে কথিত আছে। কক্সবাজারের মহেশখালি সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল গোলাপী মুক্তার জন্য ।
জানা যায়, আলেকজান্ডার দি গ্রেট ও জুলিয়াস সীজার ছিলেন বাংলাদেশের পিংক পার্লের বিশেষ অনুরাগী। সুপ্রাচীন চীন ধর্মগ্রন্হ ‘বৃহৎ সংহিতা’ তেও এই রত্নের উল্লেখ আসে। মোঘল সম্রাট আকবরের নবরত্ন সভায় অন্যতম সদস্য আবুল ফজল রচিত ‘আইন-ই-আকবরি’ গ্রন্থে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের পিংক পার্ল বা গোলাপী মুক্তার বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি আজ অনেকাংশেই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। অথচ এই অঞ্চলে এখনো প্রাকৃতিক মুক্তা পাওয়া যায়। গোলপী মুক্তা উৎপাদন করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম। দুর্ভাগ্য এই যে, বাস্তবে তার কিছুই হয় নাই। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক খবরে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে কুতুবদিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত সন্নিহিত এলাকায় যথাযথভাবে মুক্তা আহরণের ব্যবস্হা গ্রহণ করা হলে প্রতি বছর প্রায় 20,000 কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। মুক্তা চাষের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে এমন একটি সম্ভাবনাকেও বিনষ্ট করেছে। আমরা অবহেলা, উদ্যোগহীনতা নিস্ক্রয়তার জন্য এই সম্ভাবনাময় ও ঐতিহ্যবাহী সম্পদের অবলুপ্তি অবোলোকন করে চলেছি। শুধু বাংলাদেশ মহেশখালী, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সোনাদিয়া, টেকনাফ কুতুবদিয়াই নয়, চলনবিল ও বিশাল সুন্দরবন এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক চাষাবাদ ও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমান মুক্তা উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশের আবহাওয়া, মৃত্তিকার রাসায়ানক সংমিশ্রণ, জলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য মুক্তা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। যাহোক আমি আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেশের এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটির প্রতি যথাযথ মনোযোগ ও দৃষ্টি দেবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদিও গ্রহণ করবেন। আর এতে অর্জিত হবে বিপুল পরিমাণে লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা, উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশ ঐতিহ্যে এবং বেশ কিছু বেকার লোকজনের হবে কর্ম সংস্হান।
কিছু দুর্লভ ও বিখ্যাত মুক্তা
নিম্নে উল্লেখিত সবকটি মুক্তাই প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট। বলা বাহুল্য এ গুলির কোনটাই কৃত্রিম উপায়ে তৈরী নয়।
* চার হাজার বছরের পুরোনো মুক্তা : ১১ মার্চ ৯০ ইং, দৈনিক জনপদ পত্রিকায় প্রকাশ- মানামা, ৯ মার্চ (এপি): নৃতাত্ত্বিকরা এখানে মঙ্গলবার একটি ৪ হাজার বছরের পুরোনো মুক্তার সন্ধান পেয়েছেন। এই খবর গোটা বাহরাইনে আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। লন্ডন –বাহরাইন যৌথ প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানকারী দলের পরিচালক রবার্ট কিলিক বলেন, গোলাপী রঙের ঐ মুক্তাটির ব্যাস ৪ মিলিমিটার এবং এর আকার প্রায় এক ফোঁটা চোখের জলের মত। এ ধরণের প্রাচীন মুক্তা ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র ছিল। বাহরাইনের কাছে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপের চারিদিকে রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে প্রধান মুক্তা- ঝিনুকের আবাস ।
* সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্যটক ও বণিক, টার্ভানিয়ের পারস্যের শাহের কাছে একটি মুক্তা বিক্রি করেন যার দাম ছিল ১,৮০,০০০ পাউন্ড।
রেইনি দেস পার্ল (la Reine des parles) : ফ্রান্সের রাজমুকুটে সাড়ে সাতাশ ক্যারেটের মুক্তা ছিল, যার নাম লা রেইনি দেস পার্ল (Reine des Parles)-La Reine des Parles-১৯৭২ সালে এই মুক্তাটি চুরি হয়ে যায় ফরাসি সম্রাটের দরবারে আরও একটি বিখ্যাত মুক্তা ছিল যার নাম রিজেন্তে (La Regent) যার ওজন ছিল ৩৩৭ গ্রেন ।
পিলিগ্রিনা (Pligriena) : ২৮ ক্যারেটের এই মুক্তাটি দিয়ে একটি নেকলেস তৈরি হয়। তার নাম লা পিলিগ্রিনা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এটি লিজ টেলরের সম্পত্তি।
হোপ পার্ল(Hop pearl): উনিশ শতকে লন্ডন ও আমষ্টার্ডামের ব্যাঙ্কার হেনরি টমাস হোপের কাছে থাকা এই মুক্তটি ছিল ‘বারোক্’ পর্যায়ের মুক্তা। প্রাকৃতিক উপায়ের পাওয়া সবচেয়ে বড় মুক্তাগুলোকে বারোক্ বলা হত। হোপ পার্লের ওজন ছিল ১,৮৬০ গ্রেন।
পিন্ক কুইন (Pink Quin) : মিষ্টি জলের বিখ্যাত মুক্তা হল ‘পিন্ক কুইন’ ,যার ওজন ২৩১ ক্যারেট।
ল্যুভ (Louvre) : মুক্তার সব থেকে দামি গয়না হল ল্যুভ (Louvre) নেকলেস, যা ১৪৫ টি সুন্দর উজ্জ্বল সমান আকারের মুক্তা দয়ে তৈরী। যার ওজন ২০৭৯ পার্ল গ্রেন। আর দাম ২৫ লক্ষ পাউন্ড।
সঠিক রাসায়নিক বিশ্লেষণ, শুভ তিথীযুক্ত দিন ব্যতীত এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন না করে যে কোন রত্ন পাথর ধারণ করা অনুচিত। এতে করে শুভ ফল পাবেন না । শোধন প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ তথাকথিত প্রচলিত ভ্রান্ত সাধারণ নিয়মে দুধ, মধু, গোলাপজল, জাফরান , আতর, জম জম কূপের পানি, নদীর পানি কিংবা গঙ্গা জল ইত্যাদি দ্রব্য / বস্তু দ্বারা শোধন কখনও করা হয় না বা করার বিধান শাস্ত্রে নেই ।
আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়কৃত রত্ন পাথর আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে দিয়ে থাকি বিনিময়ে কোন অর্থ গ্রহণ করি না । আমাদের, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করা রত্ন পাথর ধারণ করার পর দ্রুত ফল প্রদান করতে সক্ষম।
“ সুমঙ্গল ” – এ পাওয়া যায় ।
[ উল্লেখ্য মুক্তা সম্পর্কে লেখাটি বিশিষ্ট জ্যোতিষ ও রত্নপাথর বিজ্ঞানী , গবেষক, বহু গ্রন্থের প্রনেতা শ্রদ্ধেয় আর,কে, ভূইয়া সাহেবের মানব কল্যানে রত্নপাথর গ্রন্থ থেকে সংগ্রহিত ]
Reviews
There are no reviews yet.