একমুখী রুদ্রাক্ষঃ
রুদ্রাক্ষের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রেণীকে ‘শ্রেষ্ঠ ’ নামে অভিহিত করা হয়। খুবই দূলর্ভ শ্রেণির রুদ্রাক্ষ এবং অত্যন্ত মূল্যবানও বটে। বলা হয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষ অপরাজেয় হয়। বিশেষ আধ্যাত্মিক উন্নতিও ঘটে। ভূমি সম্পত্তির সমস্যা, মামলা, পুনঃ পুনঃ অর্থনাশ, শত্রুভয়, চৌরোভয়, অস্ত্রাঘাত, অস্ত্রোপচার, উচ্চস্থানে হতে পতন, আঘাত, যকৃতের রোগ, চক্ষুরোগ, শারীরিক শক্তি হ্রাস, পুনঃ পুনঃ অর্থহানি, মনস্তাপ, রক্তচাপ বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক পীড়া, উন্মত্ততা, কুষ্ঠরোগ, মুর্ছা, জীবনীশক্তির অভাব, পুনঃ পুনঃ সম্মানহানি, আত্মীয় বিচ্ছেদ, চোর ও অগ্নি ভয় প্রভৃতির হাত থেকে রক্ষা করে। দক্ষিণ বাহুতে কিংবা কন্ঠে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে লোক-প্রভাবিনী শক্তির স্ফুরণ ঘটে। রাশিচক্রে রবিগ্রহ পাপপীড়িত, পাপগ্রহদৃষ্ট, নীচস্থ, পাপযুক্ত, দ্বিতীয়ে, ষষ্ঠে, অষ্টমে ও দ্বাদশে কিংবা যে কোনোভাবে পীড়িত হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূর্বক ধারণ করলে রবিগ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট হয়।তবে ১ মুখী গোলাকৃতি রুদ্রাক্ষ দুষ্প্রাপ্য ও দুর্লভ বিধায় দামও বহু গুণ বেশী । শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। |
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে কিছু কথা
রুদ্রাক্ষ
একটা গাছের ফল। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এই রুদ্রাক্ষকে পবিত্র জ্ঞান করে ধারণ করে থাকেন বা ব্যবহার করে থাকেন। নেপাল, চীন, তিব্বত, ভূটান, ইন্দোনেশিয়া, ফিজি, ভারত, আমেরিকাতে রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ জন্মে তবে সব বৃক্ষে রুদ্রাক্ষ ফল হয় না, আবার যে গুলি হয় তার মধ্যে ২% থেকে -৩% ব্যবহার উপযোগী। বৃক্ষ পতিত “রুদ্রাক্ষ” ধারণে মানবের চরম ক্ষতি হয়ে থাকে। “রুদ্রাক্ষ” ফল পরিপক্ক হওয়ার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করতে হয়। রাজেশ্বরী জ্যোতিষালয় নিজস্ব লোকের মাধ্যমে রুদ্রাক্ষ সহ বহু প্রকার “তান্ত্রিক” দ্রব্য/বস্তু সংগ্রহ করে থাকেন। ১ থেকে ২১ মুখী “রুদ্রাক্ষ” পাওয়া যায়। ৩,৪,৫,৬ মুখী রুদ্রাক্ষ বেশী পাওয়া যায়। ১৪ মুখী থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ দুষ্প্রাপ্য ও দূর্ল্ভ। বর্তমান সময়ে ভারতের ওয়েব সাইটে ক্লিক করলেই দেখবেন যে হাজার হাজার কেজি রুদ্রাক্ষ তাঁহারা সরবরাহ করতে সক্ষম যা আদৌ খাঁটি রুদ্রাক্ষ নয়। Continue Reading…
বাস্তুশাস্ত্র অর্থাৎ স্থাপত্যবিদ্যা
বাস্তুশাস্ত্র অর্থাৎ স্থাপত্যবিদ্যা
একদিক দিয়ে বিচার করলে বিষয়টি খুব সহজ, অন্যদিক দিয়ে বিচার খুবই জটিল ও কঠিন।প্রয়োজন শুধু সঠিক দিক ও কোণ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা এবং সঠিক নির্মাণ স্থাপন ও আসবাবপত্র সঠিক দিকে সাজানো।বাস্তু নিয়ম পালন আবশ্যক এই জন্য যে মানব জীবনে ৫০% ভাগ্য বাকী ৫০% বাস্তুর প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত।কোন কিছুর প্রাপ্তিতে প্রভাবিত হয় ভাগ্যের এবং ভাগ্য কর্মদ্বারা পরিচালিত হয়।বাস্তু বা বাড়ী, অফিস, কারখানা মানুষ নিজে নির্মাণ করে।সেটা যদি মানুষের কর্মদ্বারা স্বেচ্ছায় বা অজান্তে ৫০% ই ভুল হয় পরিণামে শান্তি স্থিতি হয় না।বাস্তু নিয়ম প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য মিলিত করে। Continue Reading…