অবয়কাত শালগ্রাম শিলা
নাম, আকার ও প্রকারভেদ শালগ্রাম শিলা প্রায় অভিন্ন বর্ণের। তবে পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে দূর্লভ শালগ্রাম শিলা হচ্ছে- অবয়কাত শালগ্রাম শিলা।
সূর্যোদয়ের পর ঘোর অন্ধকার, যেমন দূরীভূত হয়ে চতুর্দিক আলোকিত করে, তদ্রুপ এই শালগ্রাম শিলাটি যে ব্যক্তির বাড়ীতে স্থাপন করা থাকবে সে বাড়ীর সকল সদস্যের জীবনের অন্ধকার চিরতরে নাশ হয়ে যাবে। সুনাম, সুখ্যাতি, যশ, গৌরব, অর্থ, প্রতিপত্তি, আধিপত্য বিস্তার অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। মানুষের সাথে সু সম্পর্ক বজায় থাকবে। শত্রুগণ মিত্ররূপ ধারণ করবেন ও শত্রুজয় ঘটবে। লোক পূজ্যনীয় হবেন, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য কোথায় গিয়ে যে পৌছাবে যা কল্পনাও করা যায় না। গচ্ছিত সুনাম, সম্পদ, রক্ষা হবে এবং পুন: উদ্ধার হবে। রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান দান করবেন। অবয়কাত শালগ্রাম শিলা অতীব দূর্লভ বস্তু। বলতে গেলে পাওয়াই যায় না। বিশ্বের বড় বড় রাজন্যবর্গ পরিবারে, বড় বড় ব্যবসায়ীর বাড়ীতে এই পবিত্র শালগ্রাম শিলাটি থাকতে পারে বলে অনুমেয়। শাস্ত্রে উল্লেখ করা আছে যে একবার শালগ্রাম শিলা স্পর্শ করলে কোটি জন্ম অর্জিত পাপ ধ্বংস হয়, বর্তমান জন্মের তো হবেই (সুবহানাল্লাহ)।তবে স্পর্শের বিধি বিধান অবশ্যই জানা থাকতে হবে। তথ্যসূত্র গরুড় পুরাণ পৃষ্ঠা ৯০
উদাহরণ স্বরুপ- যদি একজন নিঃস্ব ব্যক্তির গৃহে এই শালগ্রাম শিলা স্থাপন করা যায় তবে উক্ত ব্যক্তিও প্রাচুর্য্য ও বিত্তের অধিকারী হবেন সন্দেহ নাই।
অবয়কাত শালগ্রাম শিলা যার গৃহে স্থাপিত থাকবে সেখানে সর্বদাই চর্তুবর্গযোগ (অর্থ,মোক্ষ, কাম, সিদ্ধী) বিরাজ করবে।
মূল্য : সংগ্রহে আলোচনা সাপেক্ষে । তবে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সামর্থ্যবানরা যোগাযোগ করতে পারেন।
অবয়কাত শালগ্রাম শিলার ওজন
১০-১৫ গ্রাম এর অধিক ওজনেরও পাওয়া যেতে পারে।
· অবয়কাত শালগ্রাম শিলা আংটিতে ব্যবহার/শরীরে ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
ব্যবহার বিধি : অবয়কাত শালগ্রাম শিলানিজ বাড়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের মনস্থির করে থাকলে, শিলা গ্রহনের পূর্বে, শিলা স্থাপনের সময় ও অবয়কাত শালগ্রাম শিলা স্থাপনের পর বিশেষ করে স্থাপনের ২ মাসের মধ্যে বিশেষ বিশেষ কিছু বিধি বিধান মেনে চলা অতীব জরুরী বিধায় অবয়কাত শালগ্রাম শিলা স্থাপন সংক্রান্ত সকল প্রকার বিধি বিধান হাসান কবির নিজেই আপনাকে জানিয়ে দিবেন।
সার সংক্ষেপ :অবয়কাত শালগ্রাম শিলা স্থাপনের পর হতে –
·সকল প্রকার অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
·কৃত ও বর্ষিত নষ্টদুষ্টির(জাদু বান-টোনা) প্রভাব পূর্নাঙ্গরূপে বিনাশ হয়।
·হাজার চেষ্টা করেও কেউই বিন্দুমাত্র ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।
·জ্ঞাত ও অজ্ঞাত পাপ নাশ হয়।
·পরিবারের সবার উন্নতি সাধিত হয়।
·পরিবারের কর্ত্তাব্যক্তি ইচ্ছাধারী রূপ ধারণ করতে পারবেন।
·লোক ব্যবহার কৌশল অবলম্বণ করতে হবে না, মানুষ এমনিতেই বশীভূত হবেন।
·রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সর্বদাই সুপ্রভাবের ফলাফল দান করবেন।
·পূর্ব পুরুষদের অভিশাপ ও বর্তমান অভিশাপ নাশ হয়।পুরো জীবন চিত্র পাল্টে দিতে সক্ষম যদি গৃহে অবয়কাত শালগ্রাম শিলা স্থাপন করা থাকে।
সতর্কতা :
ক্রয় করুন বা নাই করুন এই শিলা সম্পর্কে কোন প্রকার অহেতুক মন্তব্য করবেন না প্লিজ। এতে আপনারই মঙ্গল নিহিত।
ছোটবেলা থেকে অর্থাৎ যখন থেকে জ্যোতিষ, বাস্তু, তন্ত্রবিদ্যার চর্চা করছি তখন থেকে হাজার জনে হাজার প্রশ্ন করেছেন, এখনও করছেন, ভবিষ্যতে যে করবেন না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। এক এক জনের একেক প্রশ্ন যেমন- মি: হাসান কি ভাবে দ্রুত ধনবান হওয়া যায়, এমন কি কোন রত্ন-পাথর আছে যা ধারণ করলে খুব শীঘ্রই ধনী হতে পারব? আচ্ছা মি: হাসান শুনলাম “নীলা” পাথর ধারণ করলে নাকি মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হতে পারেন। উত্তর জানা স্বত্ত্বেও আমি নিশ্চুপ থাকি। কেননা প্রশ্নকর্তা/কত্রীর আর্থিক সামর্থ্য আমার জানা আছে। আবার অনেককেই বলতে শুনেছি অমুক ব্যাক্তিকে ( সামাজিক মর্যাদার কারণে নাম প্রকাশ করলাম না ) ১০ বৎসর আগে দেখলাম কিছুই ছিল না অথচ আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। মুচকি হাসি, উত্তর জানা স্বত্ত্বেও কিছুই বললাম না।
২০০৪ সালে একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি প্রশ্ন করল, আচ্ছা মি: হাসান অমুকের তো এম, পি, মন্ত্রী হওয়ার কথা নয় কিন্তু হলো কিভাবে? উত্তরে বললাম রাজভাগ্য যোগ না থাকলে মানুষ রাজা ( এম,পি, মন্ত্রী, রাষ্ট্রের কর্ণধার ) হতে পারেন না ঠিক তদ্রুপ অর্থভাগ্য যোগ না থাকলে মানুষ বিত্তবান হতে পারেন না। তবে রাজভাগ্য যোগ ও অর্থভাগ্য যোগ নিজ চেষ্টাতেই সৃষ্টি করতে হয়। অশুভ গ্রহ নক্ষত্রের প্রতিকার ছাড়া সম্ভব নয়। প্রভাবশালী বিত্তবান ব্যাক্তি উত্তরে সন্তুষ্ট হলেন।
২০০৯ সালে একজন খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ব্যাক্তি প্রশ্ন করলেন অমুক ব্যাক্তি (সামাজিক মর্যাদার কারণে নাম প্রকাশ করলাম না ) ৬২ হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন অথচ তাহার মৃত্যুর পর সন্তানরা পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নাশ করতে শুরু করলেন । উত্তরে বললাম সম্পদ উপার্জন করা যেমন বৃহৎ কর্ম তদ্রুপ উক্ত সম্পদকে যুগ যুগ শত শত বৎসর পর্যন্ত যারা রক্ষা করতে পেরেছেন তাহারা এমন কোন বৃহৎ প্রতিকার নিয়েছেন যা আজও তাদের সম্পদ রক্ষা করে যাচ্ছেন। যতদিন ঐ বৃহৎ প্রতিকার বস্তু/দ্রব্য থাকবে ততদিন তার সম্পদ রক্ষা হবে। আর যারা সম্পদ উপার্জন করেছেন বটে কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবেননি, সম্পদ রক্ষার জন্য কোন প্রতিকার দ্রব্য/বস্তু গৃহে রেখে যাননি তাদের সম্পদ তো নাশ হবেই। কেননা তাহারা সম্পদ ঠিকই উপার্জন করেছেন কিন্তু মানসিক শান্তি ও স্বস্তিতে ছিলেন না, যাতে করে বর্তমান সময়ে ধন সম্পদ উপার্জন করা যাবে, মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার ও উপার্জন করতে পারবেন, শত শত বৎসর ধরে ধন সম্পদ রক্ষা করতে পারবেন তার জন্যই বৃহৎ প্রতিকার নেওয়া সচেষ্ট, সচেতন মানুষের প্রয়োজন। আরও বললাম একজন ব্যাক্তিকে যত বড় হতে হবে তত বড় প্রতিকার ব্যবস্থাও নিতে হবে। যে কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধানের প্রতিকার ( নিরাপত্তা) আর একজন সচিবের প্রতিকার কিন্তু এক নয়। আমি লক্ষ্য করেছি প্রায় মুসলমান বলে থাকেন – আল্লাহ্ যা করেন ভালর জন্যই করেন। আমি স্বীকার করি কেননা আমিও মুসলমান। কিন্তু আল্লাহ্ তো সূরা আর-রাহমান এ বলেছেন, তোমরা আমার (আল্লাহ্) কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে।
আমরা কথায় কথায় আল্লাহ্-র দোহাই দিতে পারি কিন্তু চেষ্টা করি না। আমাদের মুসলমানদের (নামমাত্র)
অবস্থা এমনই যে
·ঘর আছে কিন্তু আলো নেই।
·ফুল আছে কিন্তু ঘ্রাণ নেই।
·ভাগ্যে আছে কিন্তু কর্মে নেই।
·মনে আছে কিন্তু প্রকাশ নেই।
·প্রয়োজন আছে কিন্তু উদ্দীপনা নেই ।
·মানুষ বটে কিন্তু সুশিক্ষা নেই।
·চাঞ্চল্য আছে কিন্তু সংযম নেই ।
·নৈরাশ্য আছে কিন্তু নিজের উপর আস্থা নেই।
·বহু উপার্জন আছে কিন্তু সঞ্চয় নেই ।
·কষ্ট আছে কিন্তু আরাম নেই।
·অশান্তি আছে কিন্তু শান্তি নেই।
কেননা আমাদের বিশ্বাসটা অনেক সময় অবিশ্বাসকেও হার মানায়। গঙ্গাঁ নদী হিন্দুদের, যমুনা, স্বরস্বতী নদী হিন্দুদের এমন কথাও শোনা যায়। গঙ্গাঁ, যমুনা, স্বরস্বতী, ফোরাত, নীল নদ, আমাজন বা পদ্মা, মেঘনা নদী নির্দ্দিষ্ট কোন ধর্মের জন্য নয়। জগতের সব সৃষ্টি আল্লাহ্ রাব্বুল আল-আমীন সৃষ্টি করেছেন মানব জাতির কল্যানের জন্য। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান বা ইহুদী ধর্মালম্বীদের কথা শুধু আমরা বলে থাকি ,কোরআন শরীফ বা হাদীস শরীফ তা প্রমান করেন না।
আশা করি আমার এই উদাহরণ থেকে লিখা “অবয়কাত শালগ্রাম শিলা” সম্পর্কে আপনি ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন।
* কেননা পথ সকলের এক নয় চমৎকৃত পথটিই সবার কাম্য।