দশমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই শ্রেণির রুদ্রাক্ষ দূর্লভ। এর নাম ‘মহাসম্মান ’। মর্যাদা , প্রতিষ্ঠা, সুনাম, খ্যাতি, সম্মান, পার্থিব সমৃদ্ধি, কর্মদক্ষতা এবং ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে সহায়ক এই রুদ্রাক্ষ। প্রেতাদি কর্তৃক অনিষ্ঠকর প্রভাব থেকেও মুক্ত হওয়া যায়। পত্নীহানি, সন্তানহানি, উদ্দমে হানি, চিকিৎসা বিভ্রাট, বিদ্যায় বিঘ্ন, সন্তানলাভে বাধা, সৎ বন্ধু লাভে বাধা, সর্বদা খেয়ালী ভাব, উদারতা, বিচ্ছেদ, পানাসক্তি দোষ, ভগন্দর, পেটের রোগ, মানহানি, উচ্চস্থান থেকে পতন, চাকুরিতে ডিমোশন, গৃহের পার্শ্বে শত্রুতা, স্মৃতিশক্তি হানি, কর্মে সবদা দুঃশ্চিন্তা, অর্থকষ্ট, আয়ে বাধা, প্রতিবেশী থেকে মহিলাঘটিত অপবাদ, হাম, বসন্ত রোগ প্রভৃতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাশিচক্রে বুধ গ্রহ নীচস্থ, শত্রুযুক্ত ও শত্রুক্ষেত্রগত, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানে অবস্থান করলে কিংবা কোনোভাবে পীড়িত হলে বুধ গ্রহের শান্তি নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূর্বক ধারণ করলে সমস্ত অশুভ ফল দূরীভূত হয়।
এ ছাড়া আরও বহুবিদ গুনাগুণ বিদ্যমান যাহা জন্ম ছক বিচার সাপেক্ষে জানা সম্বব ।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।