fbpx

নবমুখী রুদ্রাক্ষ

নবমুখী রুদ্রাক্ষঃ

এই রুদ্রাক্ষের নাম ‘মহাকাল ভৈরব’। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে জীবনে উন্নতির সূচনা হয়, সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জয়লাভ করা যায়। দূর্ঘটনা ও হঠাৎ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আত্মীয়গণ কর্তৃক প্রতি পদক্ষেপে বিঘ্ন, নানা প্রকার অশান্তি, ভূত-প্রেত ভয়, ব্যবসায় অবনতি, উদরপীড়া, বায়ুর চাপবৃদ্ধি, চক্ষুর জ্যোতিঃহীনতা, জিহ্বায় ক্ষত, সর্প দংশন ভয়, অন্ত্রের রোগ, ব্রণ রোগে কষ্ট, কন্যার বিবাহে বাধা, কালাজ্বর, মূত্রাশয়ের পীড়া, শুক্রের দুর্বলতা, বহুমূত্র রোগ, শত্রুভয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বুদ্ধিবৃত্তিজনিত কাজের ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রচুর সুফল দান করে এই রুদ্রাক্ষ। রাশিচক্রে বৃহস্পতি গ্রহ মকরে নীচস্থ হলে, কিংবা মারকস্থ হলে এবং ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ স্থানে অবস্থান করলে কিংবা কোনোভাবে অশুভ হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূবক ধারণ করলে সকল অশুভ ফল বিনাশ হয়।

এ ছাড়া আরও বহুবিদ গুনাগুণ বিদ্যমান যাহা জন্ম ছক বিচার সাপেক্ষে জানা সম্বব ।

শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।