অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই রুদ্রাক্ষের দুটি নাম ‘বিনায়ক’ ও ‘বটুকভৈরব’। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে হঠাৎ আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কর্মচারী দ্বারা ক্ষতি, কাজে দক্ষতা লাভের অভাব, অত্যন্ত রাগজনিত অশুভ, ধন ও বিত্তহানি, ব্যবসায় লোকসান, পিতার সহিত মনোমালিন্য, মিথ্যা অপবাদ, সঞ্চিত অর্থের ক্ষতি, পত্নীহানি, পত্নী বিচ্ছেদ, কৈশোরে অপবাদ, বাল্যকালে বিদ্যাহানি, আত্মীয় বিচ্ছেদ, নিঃসঙ্গতা, সব সময় নিরাশা, সন্ন্যাস রোগ, হৃদকম্পন, শ্বাসকষ্ট, সন্ধিবাত, অতিসার রোগ, অনিদ্রা, আঘাতের দ্বারা মৃত্যু, রাজদন্ড, বহু প্রকার শোক থেকে মুক্ত করে। দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রাশিচক্রে শনি ও রাহু অশুভ থাকলে উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূর্বক ধারণ করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
এ ছাড়া আরও বহুবিদ গুনাগুণ বিদ্যমান যাহা জন্ম ছক বিচার সাপেক্ষে জানা সম্বব ।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।