সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই শ্রেণির রুদ্রাক্ষের নাম ‘অনন্তমাতৃকা’। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সামাজিক প্রতিষ্ঠা, অর্থ, মান, যশ ও প্রতিপত্তিলাভের পথ সুগম হয়ে থাকে। মেরুদন্ডের পীড়া, রক্তের প্রবাহের বৈষম্যজনিত বেদনা, ফুসফুসের পীড়া, রক্তের উর্ধ্বচাপ, পঙ্গু, অস্থিভঙ্গ, সন্তানহীনতা, ব্যাবসা বাণিজ্যে ক্ষতি, সুনামহানি, ধনসম্পত্তি হানি, সমস্ত কাজে বিঘ্ন, ভোজনে অরুচি, সর্বদা দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, মাদকদ্রব্য সেবনজনিত অসুস্থতা, রক্তহীনতা, বজ্রাঘাত, উচ্চস্থান হতে পতন, আঘাতাদি দ্বারা অপমৃত্যু, প্রতি পদক্ষেপে বাধাবিপত্তি, রাজ-দ্বারে দন্ডলাভ, বিবাদ, বহুবিধ শোক, সন্ধিবাত, মিথ্যা অপবাদ, বিরস দ্রব্যের ভোজনে রুচি, বাত শ্লেষ্মা পীড়া, প্রভৃতি অশুভের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রাশিচক্রে রাহু গ্রহ রবি ও চন্দ্র যুক্ত হয়ে লগ্নে, দ্বিতীয়ে, চতুর্থে, পঞ্চমে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে, নবমে, দশমে এবং দ্বাদশে অবস্থান করলে কিংবা কোনও ভাবে অশুভ হলে, এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে রাহু গ্রহের সকল কূফল বিনষ্ট হয়।
এ ছাড়া আরও বহুবিদ গুনাগুণ বিদ্যমান যাহা জন্ম ছক বিচার সাপেক্ষে জানা সম্বব ।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।