ষড়মুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই জাতীয় রুদ্রাক্ষের নাম ‘বিদ্যাপ্রাপ্তি’। ছাত্রদের পক্ষে এবং যারা দূরারোগ্য রোগে ভুগছেন তাদের পক্ষে এই রুদ্রাক্ষ সবিশেষ উপকারী। জ্ঞানবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই রুদ্রাক্ষের চমৎকার কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়।
ভূত-প্রেতাদি কর্তৃক অনিষ্ট সাধনের ক্ষেত্রে প্রতিকার রূপে ধারণীয়। মানসিক অবসাদ, স্বভাবের উগ্রতা এবং নানা স্ত্রীরোগের পক্ষে উপকারী এই রুদ্রাক্ষ। রাশিচক্রে শুক্র কন্যায় নীচস্থ, অশুভ গ্রহযুক্ত দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশে অবস্থান করলে বা অশুভ হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূবক ধারণ করলে শুক্র গ্রহের সকল অশুভ ফল নষ্ট হয়।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।