পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই শ্রেণির রুদ্রাক্ষ সবত্র পরিচিত এবং সবত্রই এই রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায় তবে খাঁটি পাওয়া দুস্কর ও বটে । এই রুদ্রাক্ষ দুই শ্রেণীর হয়ে থাকে। এর নাম ‘কালাগ্নি রুদ্র’। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে নিষিদ্ধ খাদ্যগ্রহণ এবং নিষিদ্ধ কাজ সম্পাদনের পাপ অপনোদন হয়, মানসিক প্রশান্তি আসে। বিদ্যার ক্ষেত্রে বিস্মৃতি, বিদ্যালাভে বাধা, বিদ্যায় মনোযোগের অভাব, অস্থিরতা, স্মৃতি শক্তিহানি, সব সময় ক্ষুধা, জিহ্বার রোগ, যকৃৎ যন্ত্রের ও পিত্তবাহী নালীর রোগ, স্ত্রীলোকদিগের জরায়ুর রোগ, সংসারে অশান্তি, অগ্নিভয়, দস্যুভয়, মাথাঘোরা, অবসাদ, অম্ল শূলাদি পীড়া, জড়ত্ব, বুদ্ধির প্রখরতা হ্রাস, ব্যবসায় ক্ষতি, সন্তানের অবাধ্যতা, রাজনীতিতে সুনাম হানি প্রভৃতির সমাধান হয়।
অখাদ্য ভোজন-জনিত পাপ নষ্ট হয়। রাশি চক্রে শনিগ্রহ রবিযুক্ত হলে লগ্নে, দ্বিতীয়ে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে, দ্বাদশে অবস্থান করলে কিংবা যে কোনো ভাবে শনিগ্রহ পাপপীড়িত, নীচস্থ ও অশুভ গ্রহযুক্ত হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূবক ধারণ করলে শনি গ্রহের সমস্ত অশুভ ফল নষ্ট হয়।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।