ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই জাতীয় রুদ্রাক্ষের নাম ‘অগ্নি’। অতীত পাপ বিনষ্ট করে, মানুষের সৃজনশক্তির বিকাশ সাধন করে, কর্মচঞ্চল জীবনিশক্তিকে উন্নত করে, ম্যালেরিয়া রোগ নিবারণ করে। অস্ত্রাঘাত, অস্ত্রোপাচার, উচ্চস্থান থেকে পতন, অ্যাকসিডেন্ট, রক্তচাপ বৃদ্ধি বা হ্রাস, ঘন ঘন গৃহের পরিবর্তন, বাস্তুদোষ, চৌরভয়, রক্ত বিকার, পান্ডুরোগ, ভগন্দর, বসন্ত, দাদ, চর্মরোগ, মস্তিষ্ক পীড়া, কোমরে ব্যাথা, বাত, অর্শরোগ, ভূমি সংক্রান্ত বা গৃহসংক্রান্ত সমস্যা, সব কাজে অসাফল্য, হজমের গোলযোগ, আমাশয়, ক্যানসার প্রভৃতির হাত থেকে রক্ষা করে।
দুই বাহুতে ধারণ করলে অসাধারণ শক্তির সঞ্চার হয়। রাশিচক্রে মঙ্গল নীচস্থ, পাপপীড়িত, পাপদৃষ্ট, লগ্নে, দ্বিতীয়ে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে ও দ্বাদশে কিংবা যে কোনো ভাবে পীড়িত হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূবক ধারণ করলে মঙ্গল গ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট হয়।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।