দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষঃ
এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মনের একাগ্রতা ও বিবাহিত জীবনে শান্তি এনে দেয়। অজ্ঞাতসারে গোহত্যাজনিত পাপের স্খালন হয়। ঘনঘন তৃষ্ণা, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত, বাত, শ্লেষ্মা, প্রতিষ্ঠালাভে বাধা, ক্ষয় রোগ, পক্ষাঘাত, যকৃৎ পীড়া, চঞ্চলতা, অস্থিরতা, শ্বেতপ্রদর রোগ, ঘন ঘন সর্দি কাশি, পুরাতন বা বংশগত রোগ, কর্মস্থানে উন্নতিতে বাধা, স্থায়ী কর্মলাভে বাধা, অপবাদ, ফুসফুসের রোগ, অন্ত্র বৃদ্ধি, মুত্রাশয়ের রোগ, সর্বদা মানসিক অশান্তি প্রভৃতির থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কুলকুন্ডলিনী শক্তি সম্পর্কে চেতনার সঞ্চার করে। দক্ষিণ বাহুতে কিংবা কন্ঠে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ত্রিজন্ম সঞ্চিত পাপরাশি দূরীভূত হয়। রাশিচক্রে কেতুগ্রহ নীচস্থ, পাপপীড়িত বা যে কোনো ভাবে অশুভ হলে এই গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কার পূর্বক ধারণ করলে কেতু গ্রহের সমস্ত কূফল নষ্ট হয়।
শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।