শান্তি ও স্বস্তির সন্ধানে
মানুষের প্রবৃত্তিতে শুরু থেকে লালসার বীজ নিহিত রয়েছে।এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির বিকাশ ও প্রকাশ মাত্র।এর বিরুদ্ধে চলা কিছুতেই সম্ভব নয়, যতক্ষন না আল্লাহ্র বিধানের পরিবর্তন হবে, ততক্ষন পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম আশা করা দূরহ্ ব্যাপার মাত্র।তাই আল্লাহ্র নিষেধকৃত পথ বর্জন করে এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের পছন্দনীয় পথের সীমানার মধ্যে বিচরণ করার মাধ্যমই কর্মময় ও ধর্মময় আকাঙ্খার শুভ ফল নিহিত রয়েছে।এই কারণেই প্রতিটি কর্মের শুরুটা
গ্রহ, নক্ষত্র, লগ্ন, রাশি, তিথি ষোড়ষবর্গ বিচার করে শুভক্ষনে শুরু করা উচিত।শুভক্ষনটা নির্নয় করা সম্ভব একমাত্র মহা জাগতিক আত্মসাদ্ধিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের সূত্র মতে।আত্ম সাধনায় সাদ্ধিক জ্যোতিষীগণ, সৌরজগতের গ্রহ নক্ষত্রের বিচ্ছুরিত শুভাশুভ আলোক রশ্মির প্রভাবে সাংঘর্ষিক সংমিশ্রনের ফলে ঐ সময় ধরীত্রির বুকে সর্ব্ববস্তুর উপর আকর্ষীয় কি কি হতে পারে তা জানার জন্য মিশরের রাজা ফেরাউনের গণনাকারী জ্যোতিষী পরিষদ পর্যালোচনায় বসেন ফেরাউনের নির্দেশে।জ্যোতিষী পরিষদের গণনাকারীরা বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের হিসাব ও সূত্র সঠিক ভাবে নির্নয় করে জানতে পারেন যে একজন মহা মানব পৃথিবীতে আগমন করবেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এবং তাঁর মাধ্যমেই সমস্ত পৌত্তলিক অপসংস্কৃতি নিয়ম কানুন বিনষ্ট হবে এবং নির্দ্দিষ্ট সময়ে ফেরাউনকে পরাজিত করে মিশর তথা ফেরাউনের সাম্রাজ্য দখল করবেন।পরিনামে হলোও তাই।ইতিহাস ও আসমানী কিতাবের মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক পরোয়ার দেগার আমাদেরকে জানিয়েছেন তিনি একজন মোরশেল পয়গম্বর হয়রত মুসা আলাইহিস সালাম।ইহা থেকেই জ্যোতিষীর জাগতিক বিষয় আগাম গণনা প্রমানিত হয়।পৃথিবীর বুকে এই ধারা আজও প্রচলিত আছে।ধরনীর বুকে বহু জাতি, বহুদেশ আজও প্রকাশ্যে বলছেন যে, তাঁদের দেশ থেকেই(আমি দেশটির নাম উল্লেখ করলাম না) জ্যোতিষ শাস্ত্র,বাস্তু শাস্ত্র উৎপত্তি হয়েছে।আমি আমার গবেষণার মাধ্যমে যাহা জানতে পারলাম তাহা হলো ইসলাম ধর্মের শুরু থেকেই উক্ত শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে (আমার নিকট প্রমান বিদ্যমান আছে)।আল বেরুনী সর্বপ্রথম প্রমান করলেন যে সকল গ্রহ পূর্ব দিকে ধাবিত।কয়েক লক্ষ বৎসর পূর্ব থেকেই মুসলমানদের মাধ্যমেই জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চা,গণিত শাস্ত্রের চর্চা, বিজ্ঞানে সব শাখারই চর্চা হয়ে আসছে।সামান্য একটি উদাহরণ যদি বাস্তবে আমরা দেখি ও বুঝার চেষ্টা করি তবে বিস্তারিত সত্য দৃশ্যমান মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় প্রমান হয়ে যাবে।মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের মাধ্যমে কাবা ঘর নির্মান কাজ শুরু হয় আল্লাহর নির্দেশে।নির্দ্দিষ্ট মাসের নির্দ্দিষ্ট তারিখে চন্দ্রকে কেন্দ্র করে চন্দ্রের উদয় অস্ত হিসাব ধরেই হজ্ব রোজা, মহরম, ঈদ, শবে বরাত,শবে কদর,নামাজের সুনির্দ্দিষ্ট সময় ও অন্যান্য সকল প্রকার মুসলমান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু ও শেষ হয়ে থাকে নির্দ্দিষ্ট পরিসীমার গন্ডিতে, কোষ্ঠীতেও ঠিক তাই, চন্দ্র যে রাশিতে অক্ষাংশও দ্রাঘিমাংশ এবং অয়নাংশ অনুসারে থাকবে তাহাই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে রাশি।আবার চন্দ্রকে লগ্ন ধরে খুবই জটিল হিসাব বের করে একজন সচেতন মানুষের পবর্ততুল্য সমস্যার সমাধোনের পথ নির্দেশ করে দিতে হয়।সুতরাং মুসলমানদের মাধ্যমেই পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা থেকে উল্লেখিত শাস্ত্র উৎপত্তি হয়েছে চর্চাও হয়েছে, প্রাচীন সেপন তার আরেক প্রমান।সেপনে মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির উপরে লেখা পড়ার জন্য শুধু সমগ্র ইউরোপ নয়,সমগ্র বিশ্ব এসেছে জ্ঞান চর্চার জন্য।আরবের নাবিকারই সর্বপ্রথম সমুদ্রপথ আবিস্কার করেন,ইতিহাস তার বৃহৎ প্রমান।সুতরাং যেদেশ ও জাতি বলবে তাঁর দেশ থেকে জ্যোতিষ, বাস্তু, তন্ত্র ও অন্যান্য শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে তাঁরা তার প্রমানিক দলিল দিতে সম্পূর্ন রুপে অক্ষম বলে আমি মনে করি।আজও অনেক সচেতন নর-নারী অর্থনৈতিক ও জাগতিক কোন কাজ শুরু করার প্রারম্ভেই জ্যোতিষী গননার মাধ্যমে গ্রহনক্ষত্রের বিচ্ছুরিত প্রতিফলিত আলোক রশ্মির ফলাফল হিসাব করেই কাজটি শুরু করেন, শুভ ফলাফলের আশায়।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুভ ফল প্রতিফলিত হতে দেখা যায়, কার্যকারী ভাবে প্রতিকার ব্যবস্থা সঠিক হলেই সুপ্রভাবের ফলাফলও আশা করা যায়।
* দুঃসময়কে দুঃসময়ের হাতে ছেড়ে দেবেন কেন গ্রহ নক্ষত্রের দোষ কাটান।
যা কিছু শুভ, তার সঙ্গে রাজেশ্বরী জ্যোতিষালয়।
হস্তকর রেখা বিচার মৌখিক- টাকা (যে কোন ১টি বিষয়)।
হস্তকর রেখা বিচার লিখিত- টাকা (যে কোন ১টি বিষয়)।
কোষ্ঠী বিচার ( যাদের কোষ্ঠী আছে) ১৮০০০.০০ টাকা লিখিত এক বৎসরের সূক্ষ্ণ ফলাফল সহ।
কোষ্ঠী বিচার (যাদের কোষ্ঠী নেই) জম্ন কুন্ডলী ও সূক্ষ্ণফলাফল সহ এক বৎসরের জন্য ২১০০০.০০ টাকা।
রাজেশ্বরী জ্যোতিষালয়ের যে কোন রত্নপাথর সম্পূর্ণ রূপে কালার ট্রিটমেন্ট,কসমিক-রে,হিট ট্রিটমেন্ট, লেজার ট্রিটমেন্ট,ল্যাবরেটরী ট্রিটমেন্ট বিহীন, ফলে রত্নপাথর ক্রয়ের বিশুদ্ধ প্রতিষ্ঠান।
জোয়ারের গঙ্গাজল
ব্যবহার বিধি ও উপকারিতাঃ শুভ তিথি, নক্ষত্র, যোগ করণ ও বিশেষ শুভ সময়ে বিবিধ প্রকার দ্রব্য পূর্ন জোয়ারের সময় বিসর্জন দিয়ে এই গঙ্গাজল সংগ্রহ করা হয়েছে।সকাল, দুপুর, সন্ধা ও রাত্রিতে এই চারবার এই জল ব্যবহার করতে হয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে সর্ব্বশক্তিমানের উদ্দেশ্যে মঙ্গল কামনা করে,স্নান করে বাড়ীর প্রধান দরজায় ও নিজ মস্তকে এই জল ছিটাতে হবে।মধ্যাহ্ন ভোজনের পর রান্নাঘর খাওয়ার টেবিলে তৎসঙ্গে সকল রূমে ছিটাতে হবে।বেলা ১৬:০০-১৭:০০ মধ্যে গৃহের সর্বত্র এবং রাত্রিতে নিদ্রা যাওয়ার প্রাক্কালে বিছানায় ও মস্তকে এবং সকল ঘরের দরজায় এই জোয়ারের গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুতে যাওয়া উচিৎ।
ব্যবসার স্থানে,কারখানায়, দোকানে প্রত্যহ দোকান খোলার পর ও সুর্যাস্তের সময় জোয়ারের গঙ্গাজল ছিটানো এবং ব্যবসায় স্থানে কোন কিছু খাওয়ার পর হাত ধুয়ে এই জলটি মস্তকে ছিটিয়ে নেওয়া উচিৎ।উক্ত নিয়ামানুযায়ী জোয়ারের গঙ্গাজল ব্যবহারে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় থাকে, জ্ঞাত অজ্ঞাত পাপ জনিত দূর্ভোগ নষ্ট হয়।ব্যবসায় বিদ্যায় উন্নতি, কর্মক্ষেত্রে বাধাদুর,শত্রু প্রশমন, দাম্পত্য সুখ, অকাল দূর্ঘটনা রোধ, গ্রহ দোষ, বাস্তু শান্তি, রোগ শান্তি এবং অভিষ্ট সিদ্ধির জন্য বিশেষ মুহুর্তে এবং বিশেষ বিশেষ নক্ষত্রে সংগ্রহকৃত জোয়ারে গঙ্গাজল ব্যবহারের বিকল্প নেই।বছরের বারোটি মাসই নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবহারে অমঙ্গল স্পর্শ করতে পারে না।এমনকি ক্ষতিকর ব্যক্তিরাও ক্ষতি করতে পারে না।দক্ষিনা ১০০ মিঃ লিঃ
ত্রিবেনী সঙ্গমের জল = ২৫ মিঃ লি = ৪৫০০.০০ টাকা।
ত্রিবেনী সঙ্গমের জল সর্ম্পকে সাক্ষাতে জানতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ন শান্তি বিধান (যদি পালন করতে পারেন তবে সর্বাত্তম )
আমাদের আয় যতই হোক না কেন ব্যয় যেন পিছু ছাড়ে না।অযথা ব্যয়ের ফলেই কিন্তু মানুষ এত অসুবিধার সমমুখীন হন।সমাজে এক সময় প্রতিষ্ঠিত ছিল এমন অনেক মানুষের সাথে আমার স্বাক্ষাতও হয়েছে, কিন্তু আমি দেখলাম তাঁদের বৈষয়িক বুদ্ধি কিছু কম ছিল।বহু কষ্টে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন কিন্তু ব্যাঙ্ক সেভিংস বলে কিছু নেই।যদিও অনেক গুলি টাকা হয়ত কোন কারণে হঠাৎ পেলেন তো সেই মুহুর্তে দিক, বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পূর্বের সব দুঃখ ভুলে, বেশ কিছু দিন ঐ টাকা আলমারি বন্দি করে রাখলেন, এরপর হয়তো কিছু দিন ব্যাঙ্কে রাখলেন।তারপর শুরু হলো চিন্তা যে,কিভাবে ঐ টাকা খরচ করবেন।অর্থাৎ অযথা চিন্তার সাগরে ভাসা।
আমার একটা কথা ভেবে অবাক লাগে কত মানুষ এই ছোট্ট জীবনে দেখলাম কি অদ্ভুদ এই মানুষ,আপনাকে বলছি আমার এই লেখার সঙ্গে হয়ত আপনার ও কোথাও একটু মিল খুজে পেলেও পেতে পারেন।
সাংসারিক সুখপ্রাপ্তি
প্রতিদিন সকালে নিজের খাবারের কিছুটা অংশ কোন গাভী বা কাককে খাওয়ান।পশু-পক্ষীদের সাথে খাবার এই ভাবে ভাগ করে খেলে সাংসারিক সুখ প্রাপ্তি হয়।সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য কালো-কুকুর, মুসলমানদের জন্য গাভী হলে ভাল হয়।
গৃহস্থ্য রমণীরা রান্নাঘর অথবা যেখানে ভোজনের জন্য রুটি প্রস্তুত করেন সেই ঘরে অথবা সেখানে বসে রুটি খেলে কলহপূর্ন সংসারে কলহনাশ হয়ে পূনরায় গৃহে শান্তি ফিরে আসে।সতর্কতা এই যে দরজায় বসে নয় রান্নাঘরে বসে দক্ষিনমূখী হয়ে খাওয়া কর্তব্য।
রজনীর আহারান্তে নিদ্রা যাওয়ার প্রাক্কালে খাটের নীচে (আপনার বালিশ বরাবর নীচে) কংস্য ধাতু /কাঁচের ধাতু দ্বারা নির্মিত গ্লাসে পানি/জল রাখুন।সকালে স্নানান্তে উক্ত জল গৃহ সীমানার কোন পবিত্র কোণে ঢেলে দিন অথবা ঐ জল দ্বারা আপনার মুখ ও হাত ধুলে ঘরোয়া বিবাদ, অসুখ ও বিবিধ অশুভ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।আমার নিকট থেকে জল নিলে চার লিটারের দাম পড়বে = ১৮০০.০০ টাকা।
ঋণ থেকে মুক্তি
বছরে একদিন (আপনার জম্মদিনে) আপনি নিজে এবং প্রতিমাসে অন্তত একদিন আপনার পরিবারের যতজন সদস্য আছে সকলে মিলে মিষ্টি, রুটি ইত্যাদি গৃহের বাহিরে (কোন ক্রমেই গৃহ সীমার ভিতরে নয়) পশুদের খাওয়ান।এর ফলে গৃহের যাবতীয় সুখ শান্তি বজায় থাকবে এবং গৃহে কোন অভাব থাকবে না।ঋণ মুক্তি ঘটবে।উপকার পেলে প্রচার করবেন।
সন্তানের মঙ্গল
গর্ভবতী হওয়ার সময় থেকে গর্ভবতী রমনীর হাতে লাল সুতোর ডোর বাঁধুন।সন্তান ভূমিষ্টের পর সন্তানের আঠারো মাস বয়স পর্যন্ত সেই ডোর ধারণ করুন।এর ফলে আপনার সন্তান নানা সমস্যার অশুভ থেকে রক্ষা পাবে।লাল সুতোর ডোর আমি গর্ভবতী সবাইকে পুরশ্চরণ/শোধন করে এমনিতেই দেই বিনিময়ে কোন অর্থ গ্রহণ করি না।
মৃতসন্তান দোষ কাটানোর উপায়
বহু ভাগ্যহীনা রমনী আছে, যাদের সন্তান জম্মানোর সাথে সাথে গত হয়।কোন নারীর জীবনে যদি এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটে তবে সে নারীর জীবন তাঁর কাছে, পরিবারের কাছেও অভিশপ্ত বলে বোধ করি।কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।নীচের নিয়মটি পালন করুন।দেখবেন সর্ব্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আপনার সন্তানকে রক্ষা করবেন।নিয়মটি এই- সন্তান জম্মানোর সাথে সাথে যদি মিষ্টান্নযুক্ত খাবারের সাথে নোনতা খাবার সাধারণ মানুষ ও পশুপক্ষীকে খাওয়ানো যায় তবে পরম করুণাময়ের কৃপায় সেই সন্তান নিঃসন্দেহে আয়ুষ্মান (আয়ু+সম্মান) হবে।
সতর্কতাঃ কোন প্রকার মানসিক অর্থাৎ নিয়ত করতে পারবেন না যে, আমার সন্তান দীর্ঘজীবী হলে অমুক মাজার, দরগায়, মন্দিরে অর্থাৎ দেবালয়ে এই দেব সেই দেব ইত্যাদি।জ্যোতিষ ও বাস্তুবিদ হওয়াতে তৎসঙ্গে বিনা ঔষুধে বহু জটিল ও কঠিন রোগ থেকে নিরসন কল্পে বহু মানুষই আমার নিকট আসেন, কাউকে এও বলতে দেখেছি যে, নিজেও শ্রবন করেছি।আল্লাহ আমাকে শুধু কষ্ট দিচ্ছেন, আমি(অর্থাৎ যিনি বলেছেন তিনি) কোন কিছুই (পাপকর্ম) করলাম না অথচ এতকষ্ট পাচ্ছি, তখন সব থেকে উচিৎ শিক্ষা হয় নিজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলি বললেই নিজের কুকির্ত্তির ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠবে।আল্লাহকে দোষারোপ না করে নিজেকেই দোষ দিয়ে কুল কিনারা পাবেন না।আল্লাহ্ পরোয়ারদেগার আলম এই দুনিয়ার দুলাদন্ডে মেপে অন্যায়ের শাস্তি দিয়ে থাকেন, পরকালে কী হবে আমার আপনার সবার জানা।যেমন কর্ম করা হয় আল্লাহ ঠিক তেমন ফল দেন।খুবই সাধারণ কিছু বিষয় আমি আপনাদের মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি।মেনেই দেখুন না হাতে হাতে নগদে সুফল পাপ্তি ঘটবে।
পুণ্য (ছওয়াব) যদি অর্জন করতে না পারেন,কমপক্ষে স্বীয় কর্ম দোষে পাপ অর্জনের চেষ্টা করবেন না প্লিজ।
বাড়িতে একজনকে অবিভাবক এর স্থান দেওয়া উচিত, নচেৎ সকলেই মাতব্বর হলেই মহা সমস্যা।
বয়স্ক বৃদ্ধ ব্যক্তিগণ অনেক অভিজ্ঞতাই অর্জন করেন সারা জীবন তাই তাঁদেরকে যারা শ্রদ্ধা সহকারে বন্ধু করেন তারা জীবনে বহু বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন।বৃদ্ধ ব্যক্তিগনের কাছ থেকে বুদ্ধি নিবেন এতে নিজেরই উপকার হবে।কিছু কথা এখানে লিখছি যেগুলি মেনে চললে উপকার ছাড়া অপকার হবে না।
যাত্রাকালে পিতামাতা ও গুরুজনদের করে যাত্রা করলে যাত্রা শুভ হয়।
সর্বদা পাক পবিত্র অবস্থায় যাত্রা করবেন, এবং খালি পেটে যাত্রা করবেননা, সনাতন ধর্মালম্বীরা যারা একাদশী, অমবস্যা বা গুরুদীক্ষায় ব্রত পালন করে থাকেন তারা অবশ্যই তাঁদের ধর্মীয় বিধান মেনে যাত্রা করবেন।নির্জলা উপবাসে জল পান করে যাত্রা করলে বিপদের আশঙ্খা থাকে।
শনি, রবি, সোম, মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠেই বিছানা (শয্যা) থেকে নামবেন প্রথমে ডান পা ফেলবেন, ডান দিকের নাকের নিঃশ্বাস ভিতরে টেনে নিবেন, বুধ, বৃহস্পতি শুক্রবার ঠিক উল্লোটাই করবেন।অর্থাৎ বাম পা ও বাম নিশ্বাস ব্যবহার করবেন।বাড়ী থেকে বাহিরে যাত্রাকালে একই ভাবে যাত্রা করবেন।
শুভ কাজে,পরীক্ষা দিতে গেলে মাংস, ডিম, রাজভোগ খাবেন না,মাছ খেতে পারেন তবে পরান্নভোজন বর্জনীয়।
কোন ব্যাপারে অহংকার করবেন না,আমি দেখেছি সেই ব্যাপারেই সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কোন সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিলে বা তাঁকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে অবশ্যই সেই ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।
সন্তান মানুষের মত মানুষ হয় একমাত্র মায়ের ত্যাগ ও শিক্ষার ফলেই,তাই মাকে সর্বদা সংযমী, শিক্ষিত এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হয়, তৎসঙ্গে অশালীন বস্ত্রব্যবহার পরিত্যাগ করতে হয়।নচেৎ সারাজীবন দুঃখেই জীবন যায়।
পুরুষের গুনে লোকজনের বৃদ্ধি হয় নারীর সংযমের সন্তান শিক্ষিত ও ধনের বৃদ্ধি হয়।কন্যার মায়ের যে মাসে বিবাহ হয় সেই মাসে কন্যার বিবাহ দিলে কন্যা অযথা অশান্তিতেই ভোগে যে অশান্তির কারণ খুজতে বহু ত্যাগ ও পরিশ্রম করতে হয় আমাদেরকে (জ্যোতিষ ও বাস্তবিদকে)।
সর্বদা ছেঁড়া জুতা, ভাঙ্গা বা ফুটো হাড়ী,ছেঁড়া তোয়ালে বা গামছা, কলসী (কলস) বাসন ইত্যাদি ঘরে ছড়ান, ছিটান পড়ে থাকলে সন্তান ও গৃহসজ্জার প্রতি স্ত্রীর দৃষ্টি না থাকলে (অবিবাহিতদের নিজের দৃষ্টি) ঐ স্ত্রীর দ্বারা বিরাট কোন ক্ষতির সম্ভবনা থাকে।সময় থাকতে তার দিকে সর্তক দৃষ্টি রাখুন।
চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ৩০শে চৈত্র বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত হিসাব মতে ১৪ই এপ্রিল পাগল, গরু, বালক, কাককে ভোজন করালে গৃহের অশান্তি দূর হয় তদ্রুপ রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব নিরসন হয়।খাদ্যের মধ্যে চিড়াভাজা থাকলে সর্বোত্তম।
অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মাছ মাংস ভোজন করলে বহু প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়, পুরনো রোগ বলশালী হয়ে শরীরের জন্য ক্লেশ দায়ক হয়।
শনিবার একদামে কলা কিনে কালো গাভীকে খাওয়ালে বহু বাধা দুর হয়।আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত দূর হয়েছে।সতকর্তা এই যে, কোন প্রকার মানসিক করা যাবে না।মানসিক = নিয়ত।
প্রাতঃকালে শিশুকে গাল দিতে নেই বা আজে বাজে অভিশাপ দিতে নেই, এর দরুন অত্যন্ত বাজে ফল পেতে দেখেছি বাবা মাকে।
বুধবার বা সোমবার ক্ষৌরকর্ম করবেন,উক্ত দিনের মধ্যে জম্মদিন হলে জম্মদিনে ক্ষৌর কর্ম করবেন না।
বাড়িতে ঝুল জমাতে দিবেন না এবং ভাদ্র মাসে জমাকৃত ঝুল পরিস্কার করবেন না।
বৃহস্পতি,শুক্র বা শনিবারে বিউটি পার্লারে রূপচর্চার জন্য গেলে পতি পত্নীর সংসারে কলহ বৃদ্ধি পেতে দেখেছি।
জম্মা বারে বিবাহ না করাই উত্তম।
অন্তঃসত্তা মহিলারা সূর্য এবং চন্দ্র গ্রহনের সময় কোন কিছু কাটবেন না।গ্রহনের পূর্বে রন্ধনকৃত আহার গ্রহনের পর ভোজন করলে দীর্ঘ মেয়াদী রোগের সৃষ্টি হয়।
গ্রহনের (সূর্য, চন্দ্র) সময় পত্র পত্রিকা মতে জেনে পূর্ব থেকে সর্তক থাকুন, গ্রহণ শেষে স্নানান্তে নতুন করে রান্না করে আহার করুন।
হাঁচি সর্বদা পশ্চিমে অথবা উত্তর পশ্চিম দিকে মুখ করে দিবেন, অন্য দিকে হাঁচি দুঃখের কারণ হয়।
চল্লিশ বৎসর বয়স যারা অতিক্রম করেছেন তাঁরা সামুদ্রিক অর্থাৎ নোনা পানির মাছ না খাওয়াই সর্বোত্তম।
সর্ব বেদসার, সর্বতন্ত্রসার, সর্বপুরাণ ও উপপুরাণসার, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর কথিত সনাতন ধর্মালম্বীরা শ্রী শ্রী দুর্গানাম জপ সাধন করুন।এই দুর্গে স্বয়ং একটি সিদ্ধমন্ত্র শুধু ওঁ হ্রীং দুর্গে দুর্গে রক্ষনি স্বাহা এই মন্ত্র প্রত্যহ ১০০৮ বার জপ করলেই হবে।জপে অসমর্থ হলে লাল কালি দিয়ে এই মন্ত্রটি প্রত্যহ ১০০৮ বার লিখতে হবে তবে সময় থাকলে এর বেশী সংখ্যা জপ বা লিখা যাবে।সনাতন ধর্মের সর্ব্বসম্প্রদায়ই লিখতে পারেন।এই নাম জপ ও লিখতে গুরুর প্রয়োজন নেই।সময়, অসময় শুচি ও অশুচির প্রয়োজন নেই।ভ্রষ্টা, পতিতা এমনকি বারবণিতাও জপধ্যান করতে পারেন।
ধর্ম শুধু মাত্র ধার্মিক পোষাক পরা নামাজ রোজা পূজা অর্চনা করা নয়।ধর্মের সঙ্গে জীবনের সর্ম্পক রয়েছে।আমাদের মর্যাদা,পরম্পরা,সংস্কার আর জীবন মূল্যের নামই হচ্ছে ধর্ম।যে ব্যক্তি কখনো ক্রোধ প্রকাশ করে না, একমাত্র সেই ধার্মিক হতে পারে আর যে ব্যক্তি কথায় কথায় রেগে উঠে সে কখনো ধার্মিক হতে পারে না।যতক্ষন পর্যন্ত ক্রোধের প্রশমন না হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত ব্যক্তি ধার্মিক হতে পারবে না।ভিতরের অন্ধকার ছেয়ে থাকলে বাহিরে প্রদীপ জ্বালানোর কোন অর্থ হয়না।সবার আগে মনের অন্ধকার ক্রোধকে বাইরে বের করে আনুন একমাত্র তা হলেই ধার্মিকতা, আধ্যাত্মিকতা জাগ্রত হবে।
প্রাণশক্তি হচ্ছে প্রাণ বায়ুগুলোর শক্তি যেটাকে জাগ্রত করার জন্য কিছু শক্তিশালী আয়াত উচ্চারণ করার অত্যাবশ্যক।যতক্ষন পর্যন্ত প্রাণশক্তি জাগ্রত রয়েছে ততক্ষনই জীবন।জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিষ হচ্ছে সন্তুষ্টি।কিন্তু যখন ব্যক্তির আত্মাই অতৃপ্ত থাকে, তখন সব কিছুই ব্যর্থ হয়ে পড়ে।আজ প্রতিটি ব্যক্তিই সংসারের বন্ধনে জড়িয়ে রয়েছে এই বন্ধন থেকে মুক্তি লাভের জন্য এবং রোগে,শোকে,দারিদ্রে,দুর্ভিক্ষে, পৃথিবীর শান্তি কামনায়, রাষ্ট্র বিপ্লব,অপমৃত্যুভয়ে, সর্পভয়ে, অগ্নিভয়ে, ব্যঘ্র ও অন্যান্য হিংস্র জন্তুর ভয়ে, অরণ্যে, রণে দারুন বিপদে, শত্রু ভয়ে, জল ও স্থল বিপদে,বিবাদে বিষাদে, স্বামী স্ত্রীর সুখ মিলনে,সৃষ্টিকর্ত্তার প্রেমে, অভিষ্ট সিদ্ধিতে,বৈধব্য দোষে, স্ব কামনায়, অকাল বৈধব্য দোষে,সন্তান কামনায়, অর্থলাভার্থে, স্বজন বিচ্ছেদে,বন্ধু বা আত্মীয় বিচ্ছেদে, কর্ম্মলাভার্থে, আয় বৃদ্ধিতে,ব্যয় সংকুলানে মুসলমান গভীর রাতে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে দোয়ায়ে গঞ্জল আরশ, দোয়ায়ে তুনাজ্জিনা ও সর্বদা উচ্চারনে বা মনে মনে লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলীউল আযীম” পাঠ করবেন এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজান্তে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে ও প্রাণীর কল্যানার্থে সৃষ্টিকর্ত্তার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করবেন।
উচ্চারণঃ বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ সলাতান তুনাজ্জীনা বিহা মিন্ জামীয়িল্ আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাতি, ওয়াতাক্বদীলানা বিহা জামীয়িল হাজাতি, ওয়া তুত্বহহিরূনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআতি, ওয়া তারফাউনা বিহা ইন্দাকা আলাদ্ দারাজাতি, ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আক্বছাল্ গায়াতি মিন্ জামীয়িল খাইরাতি ফীল হায়াতি ওয়া বাদাল্ মামাতি,ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন্ ক্বাদীর। বিরাহ্মাতিকা ইয়া আর হামার রা-হিমীন।
সনাতন ওঁ হ্রীং দুর্গে দুর্গে রক্ষনি মন্ত্রটি জপ করলেই হবে।
যে কথা আমি এখানে লিখলাম এগুলি সবগুলিই আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা।
কোন বইতে এগুলি পাবেন না।আমার লিখা মিলিয়ে দেখুন, যদি দেখেন যে,আপনার ক্ষেত্রে এগুলি পালন করে উপকার পাচ্ছেন তাহলে মেনে চলুন, অন্যথায় মানার কোন প্রয়োজন নেই।
সর্ব্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট দৃশ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের আপনার দ্বারা যেন কোন প্রকার ব্যত্যয় না ঘটে এ শুভ কামনায় বাংলাদেশ ভূখন্ডে জম্মগ্রহনকারীর পক্ষ থেকে বিশ্ব মানব সভ্যতার প্রতি কল্যাণময় প্রার্থনা জানাচ্ছি।
শান্তি ও স্বস্তি লাভ হউক
হাসান কবির।