রত্ন পাথর ল্যাব মেইড
হাইড্রোথার্মাল ল্যাব মেইড রত্নের ক্ষমতা খনিজ পাথরের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি ।
( সিনথেটিক , প্লাটিনাম , flame fusion, crystal pulling or flux growth method , Nano Crystals গ্রহণযোগ্য নয় )
চোখের যে প্রক্রিয়ায় আলো তৈরি হয়, হাইড্রোথার্মাল ল্যাবমেইড ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এই নিয়মে নিউকিয়াস একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় চারটি হাইড্রোজেন নিউকিয়াসকে সংযুক্ত করে একটি হিলিয়াম নিউকিয়াস গঠন করা হয়। আর এই একীভূতকরণের সময় সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড তাপ যা খনিজ রত্ন পাথরে থাকে না । এই প্রক্রিয়াকে থার্মোনিউকিয়ার রত্ন- পাথর নামেও পরিচিত।
হাইড্রোথার্মাল ল্যাবমেইড রত্নের ভেতরে লক্ষ লক্ষ অণু থাকে যা ভূগর্ভস্থ পাথরে থাকে না । এই রত্ন- পাথর মানব দেহের সংস্পর্শে আসা মাত্রই ডয়টেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম মিলে হিলিয়াম নিউকিয়াস সৃষ্টির কাজ করে। তাতে এর কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় আরো ১০০০ গুণ যা খাঁটি রত্নে হয় না । হাইড্রোথার্মাল ল্যাবমেইড রত্ন – পাথরে খনিজ যে যে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োজন তা হুবুহ থাকে ফলে Refractive index . Specific gravity ,Mohs scale hardness Crystal system . Crystal class . Crystal habit. Cleavage . Luster . Optical properties . Birefringence . Pleochroism . Dispersion.Melting point , Fusibility, Solubility Ultraviolet fluorescence অপরিবর্তনীয় থাকে এবং হাইড্রোজেনের ডিউটারিয়াম ও ট্রাইটিয়াম নামক দু’টি আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোথার্মাল ল্যাবমেইড রত্ন ব্যবহারে লাখ লাখ ডিগ্রীর মৃদু তাপমাত্রার সৃষ্টি হয় যা খনিজ রত্ন –পাথরে হয় না ।
আইনস্টাইন এর E=mc^2 এর সূত্র মতে — যদি একগ্রাম ভরকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায় তবে তা ৯০ হাজার বিলিয়ন জুল শক্তি সৃষ্টি করবে। তবে এই প্রক্রিয়া অনেক কোম্পানি ই জানেন না । এবং খাঁটি রত্ন – পাথরে তা কোন ক্রমেই সম্ভব নয় । ( E=mc^2 – Einstein’s Equation Explained with Worked Examples )
হাইড্রোথার্মাল ল্যাবমেইড রত্ন পাথরের নিউকিয়াসকে আঘাত করা হয়সূর্যের বা চারদিকের আলোর দ্বারা ফলে নিউকিয়াস দুই ভাগ হয়ে যায়। একে বলে নিউকিয়াস বিভাজন। আলোর সংস্পর্শে রত্নের মুল উপাদান নিউকিয়াস ভেঙে তৈরি হয় বেরিয়াম আর ক্রিপ্টনের নিউকিয়াস। আর সাথে সাথে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড শক্তি। এ সময় আবার কিছু মুক্ত নিউট্রনের জন্ম হয়। শুরু হয় চেন একশান । এভাবে রত্ন- পাথরটির অভ্যন্তরেআলোর শোষণ শক্তি চলতে থাকে আর বের হয়ে আসে প্রচণ্ড অশুভশক্তি। ফলে আপনি পাচ্ছেন খনিজ পাথরের তুলনার ১০০০ গুণ অধিক শক্তিশালী শুভ ফলাফল ।
খণিজ রত্ন পাথরে — দাগ , ফাটা , রেখা চিহ্ন , মলিণ চিহ্ন , ফ্যাকাসে বর্ণের হয় কিন্তু হাইড্রোথার্মাল ল্যাব মেইড রত্নে তা মোটেই নেই ।
বিজ্ঞানের এই যুগে খণিজ রত্ন- পাথর ধারণে ফলাফল তেমন একটা পাওয়া যায় না ।
খণিজ রত্ন- পাথরে হিট ট্রিটমেন্ট , কালার ট্রিটমেন্ট , ফ্রেকচার ফিলিং ,লেজার ড্রিলিং করে পাথরের মুল উপাদান ধ্বংস করে ফেলা হয় ফলশ্রুতিতে লাখ লাখ টাকার রত্ন – পাথর ধারণ করে কোন ই ফল পাচ্ছেন না ।
নীলা, রুবি , পান্না , হীরা , গোমেদ , পদ্মরাগমণি , বৈদূর্যমণি সহ অন্যান্য রত্ন – পাথরে যে উপাদান থাকে ঠিক এক ই উপাদান থাকে হাইড্রোথার্মাল ল্যাব মেইড রত্নে ।হাইড্রোথার্মাল ল্যাব মেইড রত্ন- পাথরে যে হেতু কোন প্রকার – ট্রিটমেন্ট করা থাকে না তাই দ্রুত ফলাফল দিতে পারে । প্রতিভাবান প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা হাইড্রোথার্মালল্যাব মেইড রত্ন – পাথর অধিক ধারণ করে থাকেন ।
সুমঙ্গলে হাইড্রোথার্মাল ল্যাব মেইড রত্ন পাওয়া যায় ।
যে মস্তিষ্ক সঞ্জাত সূক্ষ্ম বুদ্ধির দ্বারা সূক্ষ্মত্বের পরিমাপ হয় , তাহা সকলের মধ্যে সমান থাকেনা এবং মানবের মধ্যে তাহা প্রচুর থাকলেও অপ্রচুর । তাই মানুষ প্রাজ্ঞ কিন্তু সর্বজ্ঞ নন । প্রমাদবশতঃ কিছু লিখে থাকলে ভ্রমশুণ্য চোখে দেখবেন প্লিজ ।
নীলার বেগুনী আলোর বিচ্ছুরণ কি উপকারে লাগে !
আমাদের বাঙালীদের মধ্যে নীলা নিয়ে নানা মুখোরচোক, মজাদার গল্প চালু আছে। যেমন নীলা ধারণ করলে হয় রাজা হবে না হয় ফকির হবে। নীলা নাকি সহজেই ধারণ করা যায় না! বালিশের তলায় তিনদিন রেখে বুঝতে হবে ওটা ব্যবহার যোগ্য কি না! পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নীলা অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাক। আমদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ময়ানমারে মেয়েরা খুব স্বাভাবিক ভাবে নীলাকে গহণা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এমনিতেই সারা পৃথিবীতে বার্মিজ নীলার নাম আছে উজ্জ্বলতার কারণে। বিশ্বের বাজারে নীলার নাম BLUE SAPPHIRE . তার কারণ বাইরের দিক নীলা দেখতে নীল রঙের। ভারতের কাশ্মীরের নীলা খুব বিখ্যাত তার উজ্জ্বলতা ও নীল রঙের জন্য।
নীলা স্যাফায়ার বিভাগের রত্ন। স্যাফায়ার বিভাগের রত্ন পোখরাজ ও চূনী। এল্যুমিনিয়াম অক্সাইড সহ স্যাফায়ার বিভাগের রত্নে যে সব উপাদান থাকে তার সবই নীলার মধ্যে বিদ্যমান। আর পৃথিবীতে কাঠিন্যতার দিক থেকে হীরের পরেই নীলার স্থান।
বাইরের দিকের রঙের তারতম্যের কারণে ভারতে নানা নামের নীলা পাওয়া যায়। যেমন, গাঢ় নীল হলে ইন্দ্রনীলা, নীল হলুদ হলে পিতম্বরী নীলা, লালের মিশ্রণ জনিত বেগুনী রঙের নীলা কে রক্তমুখী নীলা বলে। আবার হলুদ হলে পোখরাজ। গোলাপী হলে পিংক স্যাফায়ার বা চূনীও বলা হয়। সাদা হোলে শ্বেত নীলা বা WHITE SAPPHIRE .
বাইরের বর্ণের দিক থেকে নীলা নানা রঙের হলেও সব বর্ণের নীলা থেকে বেগুনী আলো বিচ্ছুরণ করে। যেমন সাদা নীলাতে , নীল বর্ণের নীলাতে , রুবি , রক্ত নীলাতে – অর্থাৎ সব SAPPHIRE থেকে বেগুনী আলো বিচ্ছুরণ হয়ে থাকে ০০১% ও কম বেশি আলো বিচ্ছুরণ হয় না । এক্স-রে বা স্পেক্ট্রাম টেস্ট করলে নীলার বৈশিষ্ট্য পূর্ন বর্ন হল বেগুনী রঙ তা জানা যায়। জ্যোতিষের দিক থেকে শনি গ্রহকে অধিক মাত্রায় শুভ শক্তি দেবার নিমিত্তে নীলা ধারণ করতে বলা হয়। শরীরে তখন বেগুনী রঙের ঘাটতি রয়েছে তাই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নীলা ধারণ করতে বলা হয়ে থাকে।
আর জেম থেরাপিষ্টরা যে সব কারণে নীলা ধারণ করতে বলেন তার কারণ নীলা থেকে বেগুনী আলো বিচ্ছুরণ করে । যেমনঃ
১) বেগুনী আলো প্লীহাকে স্টিমুলেট করে।
২) বেগুনী আলো লিম্ফেটিক সিস্টেমকে এবং মটর নার্ভ ডিপ্রেস করে।
৩) বেগুনী আলো হার্টের গতিকে স্তিমিত করে।
৪) বেগুনী আলো গুরু মস্তিস্কে রক্ত পাঠিয়ে পুষ্টি জোগায়।
৫) বেগুনী আলো রক্ত কে পরিষ্কার করে লিউকোসাইট বৃদ্ধি করে।
৬) বেগুনী আলো দেহে বা রক্তে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম ব্যাল্যান্স কে নিয়ন্ত্রিত করে ফলে টিউমার জন্মাতে পারে না।
৭) বেগুনী আলো হাড়ের পক্ষে ভাল।
৮) মানসিক দিক থেকে বেগুনী আলো নার্ভ কে শান্ত রাখে, উত্তেজনা স্তিমিত রাখে, অত্যাধিক যে কোনও ক্ষিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৯) লিওনার্দ দা ভিঞ্চি বলছেন, বেগুনী আলোতে ধ্যাণ করলে যত তাড়াতাড়ি মানসিক প্রশান্তি নেমে আসে যা অন্য কোনও আলোতে আসে না।
১০) যাদের অলোকদৃষ্টি আছে তারা বলছেন আমাদের সূক্ষ্ম শরীরে যে সপ্ত চক্র আছে তার সপ্তম চক্র হচ্ছে সহস্র, সেখানে থেকে নিত্য বেগুনী আলোর জ্যোতি নির্গত হচ্ছে।
নীলায় যেন ফাটা , ক্রেক , দাগ না থাকে সে দিকে ক্রয় করার সময় বিশেষ খেয়াল রাখবেন ।
হাইড্রোথার্মাল (ল্যাব মেইড) নীলা সর্বাত্তম ।
শান্তি লাভ করুন ।
হাসান কবির ।
There are no products to list in this category.